জাপানের কুমামোতো শহরে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের
পানি সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি-সর্বোত্তম ব্যবহার এবং
পরবর্তী প্রজন্ম’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এই
সম্মেলনে তার বক্তব্যের ভিডিও প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চলমান
কোভিড মহামারী পরবর্তী পুনর্গঠনে আমাদের উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।”
আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় অববাহিকাভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের
গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চলে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা করার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো অনুশীলন,
জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময় ঘটাতে হবে এবং আন্তঃসীমান্ত নদী ব্যবস্থাপনায় অববাহিকাভিত্তিক
পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।”
শেখ হাসিনা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহসহ আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার
প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, এসডিজিতে পানি সম্পর্কিত বিষয়সহ পানির বিষয়ে আন্তর্জাতিক
অঙ্গীকারগুলো পূরণ করার জন্য তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ঋণী।
“আমাদের যুবকদের অবশ্যই ক্ষমতায়িত করতে হবে, যাতে
তারা দক্ষ ও টেকসই অন্তর্ভুক্তিমূলক পানি ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিতে পারে।”
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,
তিনি পানি সংক্রান্ত জাতিসংঘ উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সদস্য ছিলেন। তখন ‘কল টু
অ্যাকশন’ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
‘কুমামোতো ঘোষণা’ সেই
প্রক্রিয়ায় কার্যকর অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পানি
ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। দেশের ৮৫ শতাংশর
বেশি মানুষের নিরাপদ পানীয় জল ও উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করেছে।