ইন্দোনেশিয়া সরকার শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে যা কার্যকর হবে।
বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত ভোজ্য তেল পাম অয়েল। যার অর্ধেকের বেশির যোগানদাতা দেশ ইন্দোনেশিয়া।
রান্নায় ব্যবহার থেকে শুরু করে প্যাকটজাত খাবার কিংবা কসমেটিকস। কোথায় নেই পাম অয়েলের ব্যবহার। এমনকি বায়োফুয়েল হিসেবেও পাম অয়েল ব্যবহার হয়।
ইন্দোনেশিয়া এখন রান্নার তেল এবং কাঁচামাল হিসেবে পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বিশ্বজুড়ে প্যাকেটজাত খাবারের দাম বেড়ে যাবে। এছাড়া, বিভিন্ন দেশ খাবার অথবা বায়োফুয়েল যেকোনো একটিতে পাম অয়েলের ব্যবহার বেছে নিতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে যেভাবে খাবারের দাম বেড়েছে তা দেখে তিনি আগে দেশের ভেতর খাদ্য উৎপাদনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান।
‘‘আমি এই নীতির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবো। যেন দেশীয় বাজারে রান্নার তেলের প্রাপ্যতা প্রচুর এবং সাশ্রয়ী হয়।”
ইন্দোনেশিয়ার এই ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই তাদের পাম অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভোক্তাদের দুঃখিত করেছে।
পাল অয়েল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বিকল্প ভোজ্য তেলের দামও বেড়ে গেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহৃত ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়ে এখন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। শিকাকো বোর্ড অব ট্রেডে এটির বর্তমান দাম প্রতি পাউন্ড ৮৩ দশমিক ২১ সেন্ট।