নতুন নিয়ম বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুচ্চালিত
স্কুটার, মোটরসাইকেল এবং তিন চাকা বিশিষ্ট রিকশায় সহজেই ব্যাটারি বদলানো যাবে। পাশাপাশি
এতে ভারতের যানবাহনের জন্য ব্যাটারি উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে বলে প্রতিবেদনে
উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
একটি খসড়া নীতির মাধ্যমে নতুন নিয়মটির
প্রস্তাব দিয়েছে ভারতীয় সরকারের থিংক-ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান ‘নীতি আয়োগ’।
নতুন খসড়া নীতিটি ব্যাটারি প্যাকের মাত্রা,
চার্জ এবং সংযোগ বিষয়ে মান ঠিক করে দেবে।
পাশাপাশি, এর ফলে বিদ্যুচ্চালিত
দুই-তিন চাকার যান কেনার বেলায় অগ্রিম খরচ এবং ইভি রূপান্তর খরচ থেকে ব্যাটারির খরচ
আলাদা করবে বলে জানিয়েছে নীতি আয়োগ।
ভারতের ক্রমবর্ধমান
বিদ্যুচ্চালিত স্কুটার খাতে, ‘বদলযোগ্য’ ব্যাটারি এখনও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে
না। তবে, এই খসড়া নীতিতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনো পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
নতুন এই নীতির খসড়া
জুনের ৫ তারিখ পর্যন্ত জনগণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। খসড়াটি একবার চূড়ান্ত
হলে, এটি ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে সরকার।
বদলযোগ্য ব্যাটারিসহ
বিদ্যুচ্চালিত যান কিনতে ক্রেতাদের প্রণোদনা প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছে থিংক-ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠানটি।
তবে, এ বিষয়ে তারা অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেয়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
তবে, রয়টার্সের আগের
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রণোদনার পরিমাণ পুরো ব্যাটারি খরচের ২০ শতাংশ পর্যন্ত হতে
পারে।
বিদ্যুচ্চালিত যান
বিক্রি বাড়াতে বদলযোগ্য ব্যাটারির নতুন নিয়ম চালুর কথা ফেব্রুয়ারিতেই জানিয়েছিল ভারত।
জলবায়ু পরিবর্তন ও
কার্বন হ্রাসের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিদ্যুচ্চালিত যানে উৎসাহ দেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই পদক্ষেপে লাভবান হবে ভারতের ‘রিলায়েন্স
ইন্ডাস্ট্রিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের ‘বিপি পিএলসি’র মতো প্রতিষ্ঠান। গত বছর দেশটিতে ব্যাটারি
তৈরির যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
ভারতীয় বাজারে ইভি ব্যাটারি উৎপাদক অন্যান্য
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে জাপানের ‘হন্ডা মোটর্স’, ভারতীয় স্টার্ট-আপ ‘সান মোবিলিটি’
এবং মোটরবাইক নির্মাতা ‘হিরো মটোকর্প’, যেটি তাইওয়ানের ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ‘গোগোরো’র
সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।