শুক্রবার বিকালে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের
গুপিনাথপুর ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে এ সংঘর্ষে আহত যুবক ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান বলে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানান।
নিহত বিপ্লব হোসেন (৪২) উপজেলার কায়েমপুর
ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের
আল আমিন (৩৪), আনোয়ার হোসেন (৪৫), মোতাহারুল হক (৬৫), হাবিবুল হক হারুন (৩৫), আব্দুস
সাত্তার খান (৪৫) ও সাকিল হোসেন সরকার (২৩)।
ওসি বলেন, “কায়েমপুর ইউনিয়নের গুপিনাথপুর
ঈদগাহ মাঠে আশপাশের পাঁচ গ্রামের লোকজন নামাজ পড়েন। শুক্রবার বিকেলে ওই ঈদগাহ মাঠের
কমিটি গঠন নিয়ে লুৎফর রহমান ও আকমল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরে উভয়
পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়। এদের মধ্যে বিপ্লব হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে
যায় স্বজনরা।
ওসি আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই ১৭ জনের
বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছিল। রাতেই ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন এটি হত্যা মামলায়
রূপান্তরিত করা হবে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।