ক্যাটাগরি

স্বামীকে ‘অপহরণের’ অভিযোগে স্ত্রী-শ্যালক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তাররা হলেন- পান্না আক্তার (২৯) ও তার ছোট ভাই জাহেদুল
ইসলাম জাবেদ (১৯)।

শুক্রবার নোয়াখালীর কবিরহাটে শ্বশুড়বাড়ি থেকে মো. পারভেজকে উদ্ধার
করে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে কবিরহাটে নিজ বাড়িতে চলে যান পান্না। সেখানে
গিয়ে পারভেজকে কাবিনের ১০ লাখ টাকা দিতে বলেন।

“টাকা না দিলে আলাদা বাসা
নিয়ে থাকার চাপ দিতে থাকেন পান্না। এক চিকিৎসকের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক পারভেজের
পক্ষে টাকা পরিশোধ করা সম্ভব না হওয়ায় তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

“এর জেরে গত ১৮ এপ্রিল সকালে
খুলশী থানার নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ আবাসিক এলাকার কর্মস্থল থেকে পারভেজকে জোর করে
তুলে নিয়ে যায় পান্নার পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা।”

এ ঘটনা ভবনের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরে পারভেজের মা বাদী
হয়ে খুলশী থানায় একটি মামলা করেন।

চট্টগ্রামের খুলশী নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ আবাসিক এলাকা থেকে পারভেজকে ‘অপহরণের’ দৃশ্যটি ধরা পড়ে বাড়ির সিসি ক্যামেরায়। 

চট্টগ্রামের খুলশী নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ আবাসিক এলাকা থেকে পারভেজকে ‘অপহরণের’ দৃশ্যটি ধরা পড়ে বাড়ির সিসি ক্যামেরায়। 

ওসি বলেন, “বছর চারেক আগে টেলিফোনে
পারভেজের সাথে তার দুই বছরের বড় পান্নার পরিচয় হয়। মোবাইলে কিছু দিন কথার সূত্রে
একদিন পারভেজ নোয়াখালী যান পান্নার সাথে দেখা করতে।

“এসময় পান্নার পরিবারের
লোকজন জোর করে ১০লাখ টাকার কাবিন ধার্য্য করে দুই জনের বিয়ে করিয়ে দেন।”

তিনি জানান, পারভেজের পরিবার প্রথমে এ বিয়ে না মানলেও পরে মেনে
নেন। কিন্তু শ্বশুড়বাড়িতে পান্না তার শ্বাশুড়িকে ‘নির্যাতন’
করলে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। এর মাঝে তাদের জন্ম নেওয়া সন্তানের মৃত্যু হলে
কলহ আরও বেড়ে যায়।

পারভেজের সঙ্গে বিয়ের আগে পান্না আরও দুইটি বিয়ে হয় বলে জানায়
পুলিশ।

পারভেজকে উদ্ধারের পর তিনি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার
জাহানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। স্ত্রী পান্না ও শ্যালক জাহেদকে আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।