ক্যাটাগরি

ওভারে ৪ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও ঝড় তুললেন রাসেল

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শনিবার আইপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ওই একটি ওভারই করেন রাসেল। অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সে ছাড়িয়ে যান সবাইকে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্রেফ এক ওভার করে চার উইকেট নিতে পারেননি তিনি ছাড়া আর কেউ।

১৯ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান ছিল গুজরাটের। শেষ ওভারে স্বাভাবিকভাবেই ঝড় তোলার লক্ষ্যে ছিলেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তাদের চড়াও হওয়ার কোনো সুযোগই দেননি রাসেল।

ওভারের প্রথম বলে তার চমৎকার স্লোয়ারে ফেরেন অভিনব মনোহর। দ্বিতীয় বলে ছক্কার চেষ্টায় বিদায় নেন লকি ফার্গুসন। দুইজনই ধরা পড়েন ডিপ মিডউইকেটে।

হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে রাহুল তেওয়াতিয়াকে স্ট্রাইক দেন আলজারি জোসেফ।

সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপন করছেন আন্দ্রে রাসেল (বাঁয়ে)। ছবি: বিসিসিআই।

সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপন করছেন আন্দ্রে রাসেল (বাঁয়ে)। ছবি: বিসিসিআই।

তেওয়াতিয়া চতুর্থ বলে মারেন চার। পরের বলেই তেওয়াতিয়াকে ফিরিয়ে দেন রাসেল আরেকটি স্লোয়ারে। ওভারের শেষ বলে নিচু ফুলটস ডেলিভারিতে ইয়াশ দয়ালের ফিরতি ক্যাচ নেন বোলার। ওভারে স্রেফ ৫ রান দিয়ে নেন চার উইকেট।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে ৯ বার ৪ উইকেট শিকার করলেন রাসেল।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার বলে ৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে রাসেলের। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।

রাসেলের দারুণ বোলিংয়ের পর ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে শেষ হয় গুজরাটের ইনিংস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৯ বলের ইনিংসে তার ২ ছক্কা ও ৪টি চার।

জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় কলকাতা। ১০৮ রানে ৭ উইকেট হারানো দলের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন রাসেল। সাতে নেমে খেলেন ৬ ছক্কা ও এক চারে ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।

তাকে বিদায় করেই ৮ রানের জয় তুলে নেয় গুজরাট। কলকাতাকে তারা থামিয়ে দেয় ১৪৮ রানে।