ক্যাটাগরি

কোভিড: ৬ জেলায় ২৬ রোগী শনাক্ত

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, মোট ছয়টি জেলায় যে ২৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার ১৮ জনই ঢাকা জেলার।

নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৩২।

নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে ২৯ হাজার ১২৭।

গত একদিনে সেরে উঠেছেন ৩১৫ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ১৩১।

এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২৭৪। অর্থাৎ এই সংখ্যক মানুষ এখন ভাইরাস সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছেন।

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটির ধাক্কা সামলে ওঠার পর সংক্রমণ এখন অনেকটাই কমে এসেছে। গত ২৫ মার্চের পর থেকেই দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশর নিচে রয়েছে। আর ৪ এপ্রিলের পর তা ৬০ ছাড়ায়নি।

গত একদিনে ঢাকা জেলার ( ১৮ জন) পাশাপাশি আর যে কয়টি জেলায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেগুলো হল- গাজীপুর (৩), নারায়ণগঞ্জ (১), নেত্রকোণা (১), কক্সবাজার (১)ও সিলেট (২)।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ ছিল।

মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার নেমেছে ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশে। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ৫৭ লাখের বেশি।