সাভারের ‘বিজিএমইএ’ হাসপাতালের ‘ফ্যামিলি
মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ ডা. লিন্ডা এস সমদ্দার বলেন, “গরমে শিশুদের পেটে গ্যাসের সমস্যা
বেশি হয়ে পেট খারাপ ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া অনিয়ম, বাইরের খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
থাকা, দূষিত পানি ইত্যাদির কারণে পেট খারাপ হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে
পেটও গরম হয়। এর ফলে পেট খারাপ হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে
এর ঝুঁকি বেশি থাকে।”
দূষিত পানি পান করা, নর্দমার লাইনের সঙ্গে
বাসার পানির লাইন সংযুক্ত হয়ে যাওয়া, ফুটানো পানি পান না করার কারণেও পেটে সমস্যা হতে
পারে।
তাছাড়া কলেরা ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় এক জনের
হলে তা অন্যদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়। তাই বিশুদ্ধ পানি পানের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার
কথা বলেন এই চিকিৎসক।
শিশুদের ক্ষেত্রে পেট খারাপের সমস্যা
দেখা দিলে প্রতিবার মল ত্যাগের পরে খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন ডা. লিন্ডা।
এতে শিশুকে পানি শূন্যতার হাত থেকে বাঁচানো যায়।
“দেহে অতিরিক্ত পানিশূন্যতা দেখা দিলে
‘কিডনি ফেইলিওর’য়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দেহে যেন পানিশূন্যতা দেখা না দেয় সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন,” অনেকেই পেট খারাপ
হলে শিশুকে সারাক্ষণই স্যালাইন দিতে থাকেন, আবার অনেকের দুয়েকবার হলেও সারাদিন স্যালাইন
খান, এটা ক্ষতিকর।”
কারণ, অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়া দেহে পটাশিয়ামের
মাত্রা বাড়িয়ে অন্য স্বাস্থঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রতিবার মলত্যাগের পরেই স্যালাইন
খাওয়া উচিত, সারা দিনভর নয়।”
স্যালাইনের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাভাবিক
খাবার, ফলমূল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এতে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয় ও ভিটামিনের
চাহিদা মেটে।
স্যালাইন ও পথ্য নিয়মিত খাওয়ার পরও যদি
তিনদিনের মধ্যে পেট ভালো না হয়, গা গরম থাকে তাহলে হাসপাতালে দ্রুত রোগীকে ভর্তি করতে
হবে।
তবে রোগী যদি মুখে স্যালাইন খেতে না পারে
বা বার বার বমির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ
দেন ডা. লিন্ডা।
আরও পড়ুন