মকবুল হোসেন।
মকবুলের মুক্তি দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে শনিবার ঢাকার আদালতে
তার তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ হয়।
শুক্রবার গ্রেপ্তার মকবুলকে শনিবার ঢাকার আদালতে হাজির করে সাত দিনের
জন্য হেফাজতে রাখার আবেদন করেন নিউ মার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হালদার
অর্পিত ঠাকুর।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ তিন দিন রিমান্ডের
আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “মামলার
সুষ্ঠু তদন্ত, মূল রহস্য উদঘাটন, এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম-ঠিকানা
সংগ্রহ পূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।”
মকবুলের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাহেল আকরাম সম্রাট,
আবুল কালাম আজাদসহ আরও আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, পেশায় আইনজীবী মকবুল নির্দোষ। তিনি ঘটনার সঙ্গে
সম্পৃক্ত নন। পরিস্থিতির শিকার তিনি।
নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল নিজেও গ্রেপ্তারের আগে
নিজেকে নির্দোষ দাবি করছিলেন। তার দাবি, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, রক্তক্ষয়ী ওই সংঘাতের ঘটনায় উসকানি ছিল মকবুলের।
যে দুটি দোকানের কর্মীদের বচসাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও
জড়িয়ে বড় ধরনের সংঘাত হয়, সেই দোকান দুটির মালিক মকবুল।
ওই সংঘাতে নিহত দুজনের স্বজনরা দুটি হত্যা মামলা করেছেন। আর পুলিশ করেছে
দুটি মামলা।
দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে
নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির যে মামলা করেছেন, তাতেই শুধু আসামির
তালিকায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আর প্রধান আসামি করা হয় মকবুলকে।
মকবুলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার ঢাকাসহ
সব মহানগরে বিক্ষোভ হবে।
পুরনো খবর
নিউ মার্কেটে সংঘাত: যে দুই দোকান থেকে সূত্রপাত, তার মালিক মকবুল প্রধান আসামি
নিউ মার্কেট সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার মকবুল থানায়