ক্যাটাগরি

নিউ মার্কেটে সংঘাত: ৪ দিনেও তদন্তে অগ্রগতি নেই

হেলমেট
পরে যারা ওই সংঘাতে জড়িয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশই ছাত্র বলে গোয়েন্দা পুলিশ জানালেও এখন
পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

গোয়েন্দা
কর্মকর্তারা বলছেন, তারা প্রতিটি ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন, শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পর
গ্রেপ্তার অভিযানে যাবেন।

গত সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দিনভর চলা এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত
হন। তাদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে রাস্তার ওপর কোপানো হয়।

এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামের একটি দোকানের ডেলিভারি
অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন নাহিদ। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার
রাতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন রাতে তার চাচা মো. সাঈদ একটি হত্যা মামলা করেন।

আর মঙ্গলবার সংঘর্ষের মধ্যে ইটের আঘাতে আহত দোকান কর্মচারী মোরসালিন
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বৃহস্পতিবার ভোরে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে হত্যা মামলা করেন
তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ। 

ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ধানমণ্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে
এলাহী শনিবার জানান, মোরসালিন হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব তারা পেয়েছেন।
আগেরদিন তারা নাহিদ হত্যার তদন্তভার পান। তারা হত্যা মামলা দুইটি ‘অত্যন্ত
গুরুত্বের সাথে’ তদন্ত করছেন।

হেলমেট
পরে যারা অভিযান চালিয়েছে, তাদের অধিকাংশই ছাত্র বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

“তবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত
কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।”

তদন্ত
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
জানান, তারা খুব শিগগিরই হত্যা মামলা তদন্তে অগ্রগতির আশা করছেন। মাঠে লোকজন কাজ
করছে।

“আজকালের মধ্যে একটা ভালো ফল দেওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।”

নিউ মার্কেটে সংঘাত: দুই হত্যা মামলা যাচ্ছে ডিবিতে

নিউ মার্কেটে সংঘাতের মামলায় মকবুল রিমান্ডে

নিউ মার্কেটে সংঘাত: যে দুই দোকান থেকে সূত্রপাত, তার মালিক মকবুল প্রধান আসামি

নিউ মার্কেটের ঘটনায় ‘তারা’ সুযোগ নিয়েছে: পুলিশ

ব্যস্ত নিউ মার্কেট এলাকায় দিনভর সংঘাত, কার কী দায়?
 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানকর্মীদের রক্তক্ষয়ী ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল
গত সোমবার রাতে নিউ মার্কেটের একটি খাবারের দোকানে ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র
মারধরের শিকার হওয়ার পর।

দোকান মালিকরা জানান, দুই দোকানের কর্মীদের বচসা থেকে এক পক্ষ ঢাকা কলেজ
ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীকে ডেকে আনে।

তারা গিয়ে মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে
আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে মধ্যরাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে বাঁধে সংঘর্ষ।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন নিউ মার্কেট
থানার এসআই মেহেদী হাসান। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির
দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা
করেন।

পরিদর্শক ইয়ামিন কবিরের মামলায় নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল
হোসেনসহ ২৪ জনের নাম রয়েছে।

নিউ
মার্কেট থানার ওসি শ ম কাইয়ুম জানান, তারা যে দুইটি মামলা তদন্ত করছেন, তার একটি
মামলায় মকবুল হোসেন এক নম্বর আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে। থানায়
রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

“বাকি ২৩ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে থানা পুলিশ কাজ
করছে, আশা করি, খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।”