শনিবার রাজধানীর
একটি হোটেলে রাজনীতিক ও কূটনীতিকদের সম্মানে দেওয়া এক ইফতার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সংসদের
বিরোধীদলীয় উপনেতা।
জি এম কাদের বলেন,
“জাতীয় পার্টি সবসময়ই একটি ভিন্ন ধারার রাজনীতি চর্চা
করে আসছে। আমরা কখনোই কোনো নেতিবাচক রাজনীতি করিনি এবং এখনও করছি না।
“বর্তমানে আমরা দেশের প্রধান বিরোধী দল। আমরা ক্ষমতায়
থাকার সময় ও বর্তমানে সব সময়ই দেশ ও জাতির স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছি।
“আমরা দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য
বদ্ধপরিকর। তাই গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, সুন্দর ও মসৃণ
করার জন্য সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
এ সময় রোহিঙ্গাদের
নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে বৈশ্বিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, “মানবিক কারণে বিশ্বের বিবেকের কাছে আবেদন জানাই, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে
ফিরে যেতে দিন।
“তাদের মর্যাদা ও সম্মানের সাথে পুনর্বাসনের অনুমতি
দেওয়ার জন্য বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ জাতি হিসেবে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব
চায়, কারো সঙ্গে শত্রুতা চায় না।”
বর্তমানে বাংলাদেশে
১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন
তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত
পিটার হাস, জার্মানির দূত আখিম ট্র্যোস্টার, অস্ট্রেলীয় হাই কমিশনার জেরমি ব্রুয়ার,
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবা লারবি, নেপালের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কুমার রায়, পাকিস্তান
ডেপুটি হাইকমিশনার কামার খোতকারসহ যুক্তরাজ্য, ভারত, কানাডার দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ
কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী
লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের
সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, গণফোরামের সভাপতি (একাংশ) মোস্তফা
মহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল
হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ
জ্যেষ্ঠ নেতারা।