শনিবার
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফ্রিজের
কম্প্রেসার বিস্ফোরণের কথা বলা হলেও তদন্তে তা পাওয়া যায়নি।
“গ্যাস থেকে সৃষ্ট আগুনে তারা দগ্ধ হয়েছেন, এমন প্রমাণ আমরা
পেয়েছি।”
গত বৃহস্পতিবার ভোরে যাত্রাবাড়ীর
মাতুয়াইল এলাকার একটি বাসায় আগুনে আব্দুল করিম (৩০), তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার
(২৫) এবং তাদের দুই বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমা দগ্ধ হন।
তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও
প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে করিমকে শনিবার
লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
দুর্ঘটনার পরপর আব্দুল করিমের খালাত
ভাই কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, সেহরির সময় খাবার গরম করতে গিয়ে পাশের ‘ফ্রিজের
কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হলে’ আগুন লেগে তারা দগ্ধ
হয়।
এ
বিষয়ে শনিবার তিতাস গ্যাসের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের ব্যবস্থাপক সবিউল আউয়াল বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে বাসায় দুর্ঘটনা
ঘটেছে, সে বাসায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি তিতাস গ্যাসের লাইন পেয়েছি।
“তারা দুটিই ব্যবহার করতেন। বিস্ফোরণ গ্যাস থেকে হয়েছে, সেটা
এলপি থেকেও হতে পারে, তিতাস গ্যাসের লাইন থেকেও হতে পারে। তবে তিতাস গ্যাসের লাইনে
কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।”
সবিউল আউয়াল জানান, তিতাস গ্যাসের চাপ
কম থাকায় বা সরবরাহ নিয়মিত না হওয়ায় অনেকেই এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে রাখেন এবং
সময়মত ব্যবহার করেন।
“এই বাসায় যে কোনো একটি
গ্যাসের লাইন হয়ত খোলা ছিল এবং সেখান থেকে গ্যাস বের হয়ে জমা হয়। ভোরে আগুন জালানোর
সাথে সাথে তার বিস্ফোরণ ঘটে, আগুন ধরে তারা দগ্ধ হন।”
কামাল হোসেন জানান, করিমরা যে বাসায়
থাকতেন, সেই বাসাটিতে একটি মাত্র শোবার ঘর আছে।পাশে ছোট রান্না ঘর রয়েছে। সেখানে
এলপি সিলিন্ডার বসিয়ে রান্না করা হয়। সেই ঘরেই রাখা হয়েছে ফ্রিজ।
তবে রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইন আছে
কি না, তা জানা নেই উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, “ফ্রিজটি
পুরোটাই পুড়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ এবং তিতাসগ্যাসের কর্মকর্তারা বলছেন- ফ্রিজ
পোড়েনি, বিস্ফোরণের কারণে ফ্রিজের দরজাগুলো খুলে পড়েছে, ভেঙে গেছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কামাল
হোসেন বলেন, “আমার ভাইকে পরিবারের
অনুমতি নিয়ে শনিবার বিকাল থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
অন্যদের অবস্থাও ভাল না।”
আরও
পড়ুন
‘ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণ’: যাত্রাবাড়ীতে বাবা, মা ও মেয়ে দগ্ধ