আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে গত শুক্রবার ফিফার পাঠানো একটি
চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গত বছর স্থগিত হওয়া ম্যাচটি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আয়োজন
করার জন্য বলা হয়েছে।
এএফএ উপদেষ্টা আন্দ্রেস উরিচ আর্জেন্টিনার টেলিভিশনে ফিফার
সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
“আমাদের বিশ্বাস, সিদ্ধান্তটি ন্যায্য নয় এবং আমরা মনে
করি, আর্জেন্টিনার কারণে ম্যাচটি বাতিল হয়নি। আমাদের বিষয়টি আদালতে নিয়ে যেতে হবে
এবং আমরা মনে করি আমাদের সেই অধিকার আছে।”
যে ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা, গত ৫ সেপ্টেম্বর দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর
সেই লড়াইটি নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য
বিভাগের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি।
আগে থেকেই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় কোয়ারেন্টিনের নিয়ম
ভেঙেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছিল। ম্যাচটি শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেও রয়টার্সসহ কয়েকটি
সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ওই চার জনকে হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে বলেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।
তবে দলটির একাদশে দেখা যায় তাদের তিন জন-অ্যাস্টন ভিলার
গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস, টটেনহ্যাম হটস্পারের ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও
মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোকে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেন স্থানীয় স্বাস্থ্য
কর্মকর্তারা অভিযোগ করেল ড্রেসিং রুমে চলে যায় সফরকারীরা।
ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সি (আনভিসা) জানিয়েছিল,
কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অ-ব্রাজিলিয়ানদের জন্য ব্রিটেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা
বা ভারত থেকে ব্রাজিলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই (ব্রাজিলে)
আসার সময় কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে মার্তিনেস, রোমেরো,
লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ
সংস্থা। ম্যাচটি আবারও আয়োজনের সিদ্ধান্ত তখনই জানায় সংস্থাটি।
এর পর ম্যাচটি পুনরায় না খেলার আবেদন জানিয়ে আপিল করেছিল
আর্জেন্টিনা। উরিচের দাবি, ওই আপিলের এখনও কোনো সদুত্তর তারা পাননি। তাড়াহুড়ো করে
ফিফা ম্যাচটি আবার খেলানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত দুই লাতিন পরাশক্তির ম্যাচটি হোক বা না হোক,
এর কোনো প্রভাব পড়বে না তাদের বিশ্বকাপ পথযাত্রায়। কেননা অনেক আগেই কাতার বিশ্বকাপের
টিকেট নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা।
বাছাইয়ে দক্ষিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে ১৭ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট
নিয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বর স্থানে আর্জেন্টিনা।
গত ১ এপ্রিল হওয়া বিশ্বকাপের ড্রয়ে ‘জি’ গ্রুপে ব্রাজিলের
সঙ্গে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
আর গ্রুপ ‘সি’-তে আর্জেন্টিনার সঙ্গী পোল্যান্ড, সৌদি আরব
ও মেক্সিকো।