ফাইল ছবি
রোববার সকালে নগরীর বটতলী স্টেশন
এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন ছাড়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটে।
মোবাইল ফোন হারানো শিক্ষার্থী
নন্দিতা দাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রথম বর্ষের
শিক্ষার্থী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিট পর ২০-২২ বছর বয়সী এক যুবক আমার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
“তাকে ধরতে আমি ট্রেন থেকে লাফ দিই, কিন্তু ধরতে
পারিনি। পড়ে গিয়ে আমার হাঁটু ও মাথায় সামান্য চোট লাগে।”
নন্দিতার পরীক্ষা ছিল। ছিনতাইকারী
ধরতে ব্যাগ ট্রেনে রেখেই লাফ দিয়েছিলেন তিনি।
“পরে একজন পথচারীর কাছ থেকে ১০০ টাকা নিয়ে পরীক্ষা
দিতে যাই।”
পরীক্ষা দিয়ে ফিরে চট্টগ্রাম
রেলওয়ে স্টেশনে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
নন্দিতা দাশের ট্রেন থেকে লাফ
দেওয়ার ঘটনাটি ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল (এটিএসআই) রফিকুল ইসলাম দেখেছেন বলে
জানিয়েছেন শাটল ট্রেনে করে বিশ্ববিদ্যালয়গামী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
তারা বলেন, পুলিশ অন্য একটি বগিতে
ছিল। নন্দিতা নেমে যাওয়ার পর পুলিশ তাকে খুঁজতে গিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানার
পর রেল পুলিশকে তা জানানো হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম
উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফোন
ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি জিডি করছেন। ছিনতাইকারীকে ধরার চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার
দূরে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল
ট্রেন। এই শাটল ট্রেনে করে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করেন কয়েক হাজার
শিক্ষার্থী।
শাটল ট্রেনে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম
ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের।
এর আগে ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায়
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরগামী শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে দুই যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এছাড়া গত এক মাসে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।