রোববার বিক্রি হচ্ছে ২৮ এপ্রিলের টিকেট। সেদিনই ঈদের আগের শেষ কর্মদিবস, ফলে ঢাকা ছাড়ার বড় চাপ সেদিনই শুরু হবে।
সকালে কমলাপুর স্টেশনের ১৬টি কাউন্টারের প্রতিটিতেই দেখা যায় টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ কিউ। তাদের অনেকে সেহেরির সময় থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেছেন।
কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, তারা প্রতিদিন প্রায় ২৭ হাজার টিকেট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
এই টিকেটের অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে এবং বাকি অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হওয়ার কথা। তবে অনলাইনে টিকেট কিনতে ওয়েবসাইটে ঢোকাই যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেকে।
অগ্রিম টিকেট কাটার সময়ে যাত্রীদের এনআইডি বা জন্মসনদের ফটোকপি দেখাতে হচ্ছে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারজনের টিকেট কিনতে পারছেন। সেক্ষেত্রে তাকে অন্য তিনজনেরও এনআইডি বা জন্মসনদ দেখাতে হচ্ছে।
কোন স্টেশনে কোন অঞ্চলের টিকেট # কমলাপুর রেল স্টেশন: সমগ্র পশ্চিমাঞ্চল ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেন # ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশন: চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন # তেজগাঁও রেল স্টেশন: ময়মনসিংহ, জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেনসহ সব আন্তঃনগর ট্রেন # ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন: মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন। |
সোমবার ২৯ এপ্রিলের টিকেট, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিলের টিকেট এবং বুধবার ১ মের টিকেট বিক্রি হবে। ঈদের পর ফিরতি যাত্রা শুরু হবে ৫ মে থেকে। সেই টিকেট বিক্রি হবে ১ মে। এরপর যথাক্রমে ৬ মের জন্য ২ মে, ৭ মের জন্য ৩ মে এবং ৮ মের জন্য ৪ মে টিকেট কেনা যাবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ মে ঈদুল ফিতর হবে। সে অনুযায়ী ঈদের ৯ দিন আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু করল বাংলাদেশে রেলওয়ে। তবে ঈদ যদি ৪ মে হয়, তবে ২৮ এপ্রিল বিক্রি হবে ২ মের ট্রেনের টিকেট।