পরে শ্রমিকদের দাবি মেনে
নিয়ে রোববার কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়।
নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের
পলাশবাড়ীতে রোববার দুপুরে ‘স্কাইলাইন গ্রুপের’ একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পুলিশের
সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ
সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, ঈদে ছয়দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। রোজার মাসে সকাল ৬টা থেকে রাত
১০টা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের দিয়ে কাজ করিয়েছে।
তারা জানান, এর আগে তারা
বোনাস হিসেবে পুরো বেতনের অর্ধেক পেতেন। এটা কোনো
কারখানায় হয় না। এবার তারা ঈদে ১০ দিনের ছুটি এবং বোনাস হিসেবে পুরো ‘বেসিক’ দাবি করছেন।
এদিকে, ন্যায্য আন্দোলনে
পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার
ওসি এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্কাইলাইন গার্মেন্টসের’ শ্রমিকরা বিক্ষোভের সময় সড়ক
অবরোধসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের ৪/৫ জন সদস্য
সামান্য আহত হয়েছেন।
পরে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে
দিলে দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে ওসি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
বিক্ষোভের সময় পুলিশ একাধিকবার বাধা দিলে শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সড়কের
পাশে থাকা কারখানার কভার্ড ভ্যান, বাস, প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে।
ওই সময় পুলিশ লাঠিপেটা
করলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়; এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
স্কাইলাইন গ্রুপের প্রশাসনিক
কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, কাজের চাপ থাকায় ঈদের ছুটি সাতদিন করা হলে শ্রমিকরা ১০
দিন দাবি করে। তিন দিন ছুটি কম দেওয়ায় তাদের এই আন্দোলনে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন
হয়।
শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে
কর্তৃপক্ষ রোববারের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে শিল্প
পুলিশ-১ এর পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা
করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।