ঘরের
মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচ
হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে বায়ার্ন।
এদিন
সের্গে জিনাব্রি বায়ার্নকে এগিয়ে নেন। পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্ত
লেভানদোভস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমরে কান ব্যবধান কমানোর পর শেষ দিকে জামাল
মুসিয়ালা জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে নিশ্চিত হয় বায়ার্নের লিগ
শিরোপা।
১৯৬৩
সালে বুন্ডেসলিগা শুরুর পর থেকে এই নিয়ে ৩১ বার চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। আর সব
মিলিয়ে জার্মানির লিগ জিতল তারা ৩২ বার।
বায়ার্নের
এবারের সাফল্যে সবচেয়ে বড় অবদান লেভানদোভস্কির। আসরে পোলিশ তারকা এখন পর্যন্ত গোল
করেছেন ৩৩টি। যার চোখে টানা দশম শিরোপা অনেক বড় অর্জন।
“আসর
জুড়ে ধারাবাহিক এবং দুর্দান্ত ফুটবল খেলে যাওয়াটা সহজ নয়। হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে
মানুষ বুঝতে পারবে যে, টানা ১০ শিরোপা কত বড় অর্জন।”
টানা
১০ শিরোপায় দলের রেকর্ডের সঙ্গে ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের নামের পাশেও দারুণ একটা
কীর্তি লেখা হয়েছে। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বুন্ডেসলিগায় ১১টি লিগ শিরোপা জিতলেন
জার্মান ফরোয়ার্ড।
মুলারের
কাছে, এই শিরোপা জয়ের অনুভূতির চেয়ে ভালোলাগার আর কিছুই নেই।
“সরাসরি
শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করা, এমন সুযোগ
সবসময় আসে না। সত্যিই আমরা এমনটাই চেয়েছিলাম ।”
ম্যাচে
বায়ার্নের তৃতীয় গোলটি আসে যার পায়ে, সেই জামাল মুসিয়ালা ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গোল
করতে পেরে অভিভূত।
জশুয়া
কিমিখও রোমাঞ্চিত বিশেষ এই অর্জনে।
“বাইরের
অনেকের কাছে এটা সাধারণ ঘটনা মনে হতে পারে, কিন্তু এ জন্য অনেক পরিশ্রম লাগে। এমন
বড় লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরে আমরা সত্যিই খুশি ও গর্বিত।”