ক্যাটাগরি

তিন বছর পর আবারও চালু হয়েছে সার্নের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার

‘ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার
রিসার্চ’ বা সার্ন জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ইউরোপের স্থানীয় সময় ১২টা ৩৬ মিনিটে
পার্টিকল কোলাইডারটি ঘিরে বিপরীতমুখী চক্কর দিয়েছে দুটি প্রোটন বিম।

পার্টিকল ফিজিক্স বা কণা পদার্থবিদ্যা
নিয়ে গবেষণা চলে সার্নে। প্রায় আলোর গতিতে বিপরীতমুখী দুটি প্রোটনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটায়
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডর। সংঘর্ষের ফলাফল বিশ্লেষণ করে উপপারমাণবিক পর্যায়ের কার্যক্রম
বোঝার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানীরা।

“সার্নের অ্যাক্সেলেরেটর কমপ্লেক্স দ্বিতীয়বারের
মতো দীর্ঘদিন বন্ধ করে মেশিন এবং স্থাপনায় বড় উন্নয়ন করা হয়েছে,” বলে জানিয়েছেন সার্নের
‘অ্যাক্সেলেরেটর্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ বিভাগের পরিচালক মাইক লামন্ট।

“এলএইচসি একটি বড় সমন্বয় প্রকল্পের মধ্যে
দিয়ে গেছে এবং এখন আরও বেশি সক্ষমতায় কাজ করতে পারবে, এবং ইনজেক্টর কমপ্লেক্সের উন্নয়নের
ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আরও বেশি ডেটা সরবরাহ করতে পারবে।”

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে,
শুক্রবারের পরীক্ষায় প্রোটনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম এবং সাড়ে চারশ বিলিয়ন ইলেকট্রন
ভোল্টে কাজ করেছে। গবেষকরা সামনের মাসগুলোতে এলএইচসিতে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার হার আরও বাড়াবেন যতোক্ষণ না শক্তি ১৩.৬ ট্রিলিয়ন ভোল্টে পৌঁছায়।

এর মাধ্যমে পদার্থবিজ্ঞানীরা হিগস-বোসন
কণা নিয়ে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণার সুযোগ পাবেন। ১৯৬৪ সালেই কণাটির অস্তিত্ব ধারণা
করেছিলেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। তবে, এর প্রমাণ মিলেছিল ২০২১ সালে এলএইচসি থেকেই।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পার্টিকল কোলাইডার
হচ্ছে এলএইচসি। জেনিভার কাছাকাছি ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে মাটির নিচে অবস্থিত
১৬.৬ মাইল দৈর্ঘ্যের পার্টিকল কোলাইডারটি।

২০২০ সালে আরও বড় পার্টিকল কোলাইডার
নির্মাণের পরিকল্পনা জানিয়েছিল সার্ন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোলাইডার
নির্মাণের খরচ হবে অন্তত দুই হাজার তিনশ কোটি ডলার।