রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে
বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ইফতার অনুষ্ঠানে
আলোচনায় দেশের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এই দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, “আজকে
নতুন করে একটা আইন তৈরি করা হচ্ছে- গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন। এটা করার
উদ্দেশ্যেই হল, কোনো মতেই যেন বাক স্বাধীনতা, ফ্রিডম অব প্রেস, ডেমোক্রেসি না
থাকে, কোনো মতেই যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে না পারে।
“এই আইন যদি পাস হয়ে যায়, পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ সংসদে
পার্লামেন্টে সদস্য যারা আছে, তারা লেজুড়বৃত্তি করে। আজকে দেশে পুরোপুরিভাবে একটা
নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা বিরাজ করছে। এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে, সেটা পাকাপোক্ত হবে।”
এই আইনটি না করার দাবি
জানানোর পাশাপাশি মতপার্থক্য ভুলে সাংবাদিকদের এমন আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান
জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আপনারা
ছোট-খাটো বিভেদ ভুলে গিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, গণমাধ্যমের স্বার্থ রক্ষা
করার জন্যে, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য একতাবদ্ধ হয়ে লড়া্ই করেন।”
অনুষ্ঠানে বিএফইউজের
পক্ষ থেকে সদ্য কারামুক্ত রুহুল আমিন গাজীকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়।
ফেডারেল সাংবাদিক
ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের
গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর এ টি এম মাছুম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের
সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ
হোসেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, নুরুল আমিন রোকন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ,
আবদুল হাই শিকদার, মোস্তফা কামাল মজুমদার, মুন্সি আবদুল মান্নান, বাকের হোসাইন,
শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা
রিপোর্ঢার্স ইউনিটির মুরসালিন নোমানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক
লুৎফুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আব্দুস সালাম বক্তব্য রাখেন।