ক্যাটাগরি

নাইজেরিয়ার অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে নিহত শতাধিক

শনিবার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়লে এসব
ব্যক্তি পুড়ে মারা যান বলে সরকারি কর্মকর্তা ও একটি পরিবেশবাদী গ্রুপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে
রয়টার্স।

অবৈধ তেল রাখার এ ডিপোতে আগুনে পুড়ে যাওয়া
শতাধিক এসব ব্যক্তিকে শনাক্ত করার উপায়ই নেই বলে জানিয়েছেন রিভারস প্রদেশের পেট্রোলিয়াম
রিসোর্সেস কমিশনার গুডলাক ওপিয়াহ।

ইয়ুথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল এডভোকেসি সেন্টার
জানিয়েছে, বিকট এ বিস্ফোরণে তেল কেনার জন্য লাইনে থাকা অনেকগুলো গাড়িও পুড়ে গেছে।

পাইপলাইন থেকে তেল চুরি করে পরিশোধনের এমন
অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অভিযান শুরু করলেও খুব
বেশি সফলতা আসেনি।

এরমধ্যেই গত বছরের অক্টোবরের বড় একটি বিস্ফোরণের
পর এ দুর্ঘটনার খবর এল।

সরকারি হিসেবে আফ্রিকার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী
দেশ নাইজেরিয়ায় লাইনে ছিদ্র করে বা কেটে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল চুরি হয়, যা উৎপাদনের
১০ শতাংশ।

রয়টার্স লিখেছে, দারিদ্রপীড়িত তেল সমৃদ্ধ নাইজার
উপত্যকায় সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ তেল পরিশোধন একটি আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এতে
প্রায়ই মারাত্মক সব দুর্ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বেকারত্বের কারণেই এমন
ঝুঁকির পথ বেছে নিতে দেখা যায় সেখানে।

তেল ক্ষেত্র থেকে বৃহৎ তেল কোম্পানিগুলোর জালের
মত বিস্তৃত পাইপলাইনগুলো থেকে চুরি করে এসব তেল অবৈধ ডিপোগুলোর ট্যাংকারে নিয়ে যাওয়া
হয়। পরে সেগুলো পরিশোধন করে তেল জাতীয় বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ
কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই ভয়ানক এমন দুর্ঘটনা ঘটে।

জটিল এ প্রক্রিয়ায় তেল পরিশোধন করতে গিয়ে দুর্ঘটনার
পাশাপাশি মারাত্মক পরিবেশ দুষণও হচ্ছে। তেল সমৃদ্ধ বড় একটি অঞ্চলের কৃষি জমি, নদী,
লেগুন তেলের দুষণের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এর আগে গত অক্টোবর একই প্রদেশে এ রকম আরেকটি
অবৈধ পরিশোধনাগারে বিস্ফোরণে শিশুসহ ২৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।