উপজেলার
দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে রোববার ভোরে
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার
কাছে একটি পাইপগান, দুটি কার্তুজ, দুটি কিরিছ ও একটি রামদা পাওয়া যায় বলে জেলা
ডিবি পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম জানান।
গ্রেপ্তার
সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল (২৯) দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের হাবিব
উল্ল্যার ছেলে।
১৯
এপ্রিল মামলার প্রধান আসামি রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমন আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে জুয়েলের নাম
এলে তাকে গ্রেপ্তার অভিযানে নামে ডিবি।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৩ এপ্রিল বিকালে একমাত্র
মেয়ে তাসকিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশে মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু
জাহের। মেয়ের জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর,
নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তবে পাশে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে লেগে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট
হয়। পরে মেয়েকে নিয়ে আবু জাহের দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে তারা ইট
ছুড়লে মাথায় আঘাত পায় তাসকিয়া। এক পর্যায়ে তারা গুলি চালালে তাসকিয়া ও আবু জাহের
মাটিতে পড়ে যান।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাসকিয়া মারা যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এলাকায় মাটিকাটা নিয়ে বিরোধের জের
ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সৌদি প্রবাসী আবু জাহের দুই মাস আগে দেশে ফেরেন।
জন্মের পর মেয়েকে এবারই তিনি দেখেন। মাটিকাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে আবু জাহেরের কোনো
সম্পৃক্ততা না থাকলেও এ নিয়ে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত থাকায় তিনি হামলাকারীদের
লক্ষ্যে পরিণত হন।
ঘটনার পরদিন তাসকিয়ার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে রিমনসহ
১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায়
হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন:
বাবার কোলে গুলিতে শিশু নিহত: ১৭ আসামি, তিন গ্রেপ্তার