ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে
যাচ্ছে বলে এমন গরম অনুভূত হচ্ছে। এরমধ্যে রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র
তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৪১
ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।।
এদিন তাপমাত্রা ফরিদপুরে ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গোপালগঞ্জে ৩৭.৮
ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,
বগুড়ায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রংপুরে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ৩৭.৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস, যশোরে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুমারখালীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মোংলায়
৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পটুয়াখালীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।
থার্মোমিটারের পারদ যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে,
আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র
তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
বিরাজমান তাপপ্রবাহ আরও দুয়েকদিন অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর।
বৈশাখের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গরম আবহাওয়া শুরু হয়। তার
মধ্যে ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এরপর বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় দেখা দেয়, তাপমাত্রাও নেমে আসে। শুক্রবার
রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড়ের পর অসহনীয় গরমের ভাব কিছুটা কাটলেও এরপর আবার অস্বস্তিকর
গরম।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, রোববার রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও
চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও
পটুয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ
বয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “বিরাজমান তাপপ্রবাহ
আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।”
সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলী চমকসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের
অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার আভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এপ্রিল মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর,
উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে
তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। দেশের অন্যত্র তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।