ক্যাটাগরি

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে রাহুলের অনন‍্য কীর্তি

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোববার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেকে আরও একবার মেলে ধরলেন রাহুল। আইপিএলের সফলতম দলটির বিপক্ষে এনিয়ে করলেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে একটি দলের বিপক্ষে এমন কীর্তি নেই আর কারো।

চলতি আসরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে দুইবারের দেখায়ই শতক হাঁকালেন রাহুল। দুই ম্যাচেই ১০৩ রানে অপরাজিত লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। তার এদিনের ৬২ বলের ইনিংসটি সাজানো ৪ ছক্কা ও ১২ চারে।

এক আসরে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি আছে আর কেবল বিরাট কোহলির। ২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ১০৯ ও অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

আইপিএলের এক আসরে একাধিক সেঞ্চুরি করা সপ্তম ক্রিকেটার রাহুল। সর্বোচ্চ ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড কোহলির। ২০১৬ সালের ওই আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের হয়ে ৯৭৩ রান করেন তিনি, যা এখনও আইপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

চলতি আসরে তিনটি সেঞ্চুরি করে কোহলির পরে জায়গা করে নিয়েছেন জস বাটলার। রাজস্থান রয়্যালসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ঠিক ১০০, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১০৩ ও দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন।

২০১২ সালে বেঙ্গালোরের হয়ে ক্যারিবিয়ান মহাতারকা ক্রিস গেইল, ২০১৭ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা, ২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন ও ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ভারতের শিখর ধাওয়ান করেন দুটি করে সেঞ্চুরি।

এই তালিকায় নাম লেখানোর ম্যাচে শুরুতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করছিলেন রাহুল। প্রথম ৩০ বলে তার রান ছিল ২৯। জয়দেব উনাদকাটকে ছক্কায় উড়িয়ে ডানা মেলে দেন তিনি। পরের ওভারে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মেরেডিথকে মারেন টানা দুই চার।

৩৭ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন রাহুল। এরপর বাড়ান রানের গতি। অপর প্রান্তে সতীর্থদের হারালেও তিনি টেনে নেন দলকে।

পরের পঞ্চাশ রান তোলেন রাহুল ২৪ বলে। সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ৬১ বলে। আইপিএলে যা তার চতুর্থ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।

এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল স্যামসকে ওভারে মারেন দুই ছক্কা। জাসপ্রিত বুমরাহকে দুই চারের পর উনাদকাটকে ওভারে টানা তিন চার।

রাহুল ছাড়া লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে ৩০ রানও করতে পারেননি আর কেউ। তার একার লড়াইয়েই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে দলটি।