রোববার সকালে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের গোবাদিয়া এলাকায় সিইউএফএল এর পেছনের খালে এ ঘটনার পর দুপুরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে।
মৃত মহিষগুলোর মালিক দুধকুমড়া গ্রামের মোহাম্মদ ইলিয়াস, ইব্রাহীম ও নুর মোহাম্মদ।
বারশত ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তৌহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার রাতে কোনোরকম ঘোষণা ছাড়াই সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ তাদের বর্জ্য খালে ছাড়ে। এতে খালের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে।”
সকালে সেখানে বর্জ্য মিশ্রিত পানি পান করে ১৩টি মহিষ মারা যায় বলে তার ভাষ্য।
একইভাবে গত ১৪ মার্চ ওই এলাকায় চারটি গরু মারা যায় দাবি করে প্যানেল চেয়ারম্যান বলেন, “প্রায় সময়ই সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ বর্জ্য ছেড়ে দেওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। বর্জ্য শোধন না করে তা সরাসরি খালে ফেলে দেয়।”
এতে করে ওই এলাকার কৃষক ও গবাদিপশুর মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমরা সিইউএফএল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সিইউএফএল এর জিএম মইনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কারখানার পাশের খালে কয়েকটি মহিষ মারা যাওয়ার সংবাদ আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শক দল পাঠানো হয়েছে।”
সিইউএফএল’র নিজস্ব ইটিপি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্জ্য মিশ্রিত পানি পানে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা না। আমাদের পরিদর্শক দল সেখানকার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষার পর কারণ জানা যাবে।”