নদীর ছায়ারচর সংলগ্ন অংশে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান চলিয়ে ওই জাল জব্দ করা হয় বলে নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান জানান।
হালদায় প্রজনন মৌসুম ঘনিয়ে আসায় মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে, আর এই মাছ ধরতে চোরা শিকারিরা ঘেরা জাল, ফিক্সড ইঞ্জিন ও চরঘেরা জাল ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
অভিযানে তিনটি চরঘেরা জাল জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই জাল যেহেতু দিনে দূর থেকে দেখা যায় না, তাই রাতেই বেশি পাতা হয়। জোয়ারের সময় এই জাল নদীর এক তীরে বসানো হয় বলে এই জালের নাম চরঘেরা।
“জালের প্রান্তে যে বাঁশ বা খুঁটি থাকে, সেগুলো ছয়-সাত ইঞ্চি মাটিতে পোঁতা থাকে। ফলে কোনো মাছ জালে ঢুকলে আর বের হতে পারে না। ভাটার সময় জাল টেনে তোলা হয়।”
হালদায় প্রজনন মৌসুম ঘনিয়ে আসায় মা মাছের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ছবি: নৌ পুলিশ
চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদাকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
মৌসুমের প্রথম বা দ্বিতীয় ভারী বর্ষণে (এপ্রিলের শেষ বা মে’র শুরুতে) হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ে। এছাড়া পাহাড়ি ঢল নামলে এবং অমাবস্যা বা পূর্ণিমার তিথি থাকলেও ডিম ছাড়ে মা মাছ।
সেসময় নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিম ছাড়তে মা মাছের আনাগোনা বাড়তে শুরু করলে চোরা শিকারীদের উৎপাতও বাড়ে। মাঝেমধ্যেই অভিযান চালায় নৌ পুলিশ, তবে টানা অভিযানেও থামছে না শিকারীদের তৎপরতা।