এক
রিট আবেদনের শুনানির পর রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন
শামীমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়।
পরিবেশ,
বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি ও পুলিশ সুপার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের
উপ-পরিচালককে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম
কোর্টের আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা জনস্বার্থে এ বিষয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহে
হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। আদালতে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
সোহেল
রানা বলেন, “আইন
লংঘন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপজেলাগুলোতে ৯৯টি
ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হাই কোর্টে রিট করেছিলাম।”
এর
পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ বিষয়ে বিবাদীদের ব্যাখ্যা চেয়ে আদালত রুল জারি করে
বলে জানান তিনি।
অবৈধ
ইটভাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য দিয়ে দৈনিক
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলায় ১৮১টি ইটভাটা
রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্রের মাধ্যমে বৈধ হিসেবে পরিচালিত
হলেও ৯৯টি ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
সংবাদ
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব অবৈধ ইটভাটাগুলো বেশিরভাগ কৃষিজমি, বসতবাড়ি, বাজার ও
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে অবস্থিত। বৈধ-অবৈধ সবগুলো ইটভাটাতে জ্বালানি হিসেবে
নিম্নমানের কয়লা পোড়ানোর কারণে মারাত্মক বায়ুদূষণ হচ্ছে। বিষাক্ত ধোঁয়ায় আম,
লিচু, নারিকেল, ধানসহ মৌসুমী ফল ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।