গোসাইরহাট থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) আবু বকর জানিয়েছেন, সোমবার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের বড়কালীনগর বড়কাঁচনায় ‘আনন্দ
বাজার ইসলামিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায়’ এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান,
অসুস্থ সবাই হেফজ ও নুরানি বিভাগের ছাত্র। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে গোসাইরহাট উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের এই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া
হয়।
মাদ্রাসা
কর্তৃপক্ষ ও অসুস্থ ছাত্র মো. ইব্রাহিম ও মো. আব্দুর রহমান জানায়, আনন্দ বাজার
ইসলামিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ১৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। রোববার রাতে
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মুরগির মাংস ও ডাল রান্না করা হয়। সকালে ২০ জন ছাত্র রাতের
বাসি খাবার খাওয়ার পর বমি ও তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়। তখনই তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৫ জনকে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর মো. ইব্রাহিম (৮), মো. আব্দুর রহমান (১১), মো.আবু
বক্কর (১০), মো. সিয়াম (৭) ও মাহফুজকে (১০) উপজেলা স্বাস্থ্য্য কমপেক্সে ভর্তি করা
হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর
রহমান বলেন, গরমে বাসি ও পচা খাবার খাওয়ার ফলে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা
করা হচ্ছে। তবে তারা এখন বিপদমুক্ত।
ওই মাদ্রাসা ছাত্র
মো. মাহাদী ইসলাম বলেন, “সকালের খাবার খেয়ে আমরা পরীক্ষা দেই। পরে বমি ও তীব্র
পেটব্যথা শুরু হয়। অভিভাবক ও শিক্ষকরা আমাদেরকে হাসপাতাল নিয়ে আসেন।”
অভিভাবক হানিফ
চৌকিদার বলেন, “মাদ্রাসায় আমার ছেলে পড়ালেখা করে। আমার ধারণা বাসি ও পচা খাবার
খাওয়ায় আমার ছেলে অসুস্থ হয়েছে।”
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ
মুফতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ছাত্ররা পরীক্ষা দিচ্ছিল; হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের
তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। কী কারণে অসুস্থ হলো বলতে পারি না।”
গোসাইরহাট থানার পরিদর্শক
(তদন্ত) আবুবকর বলেন, “হাসপাতালে ছাত্রদের খোঁজ খবর নিয়েছি। রাতের বাসি খাবার খেয়ে
ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”