শুক্রবারে ‘ধরিত্রী দিবস’ উপলক্ষ্যে
প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে টুইটার জানিয়েছে, কোনো বিজ্ঞাপনে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক মতামতের
সঙ্গে বিপরীতমুখী দাবি থাকলে সেটি প্রচারের ‘অনুপযুক্ত’ হিসেবে বিবেচিত এবং নিষিদ্ধ
হবে।
“আমরা মনে করি টুইটারে জলবায়ু পরিবর্তন
অস্বীকার করে আয়ের সুযোগ থাকা উচিত নয় এবং ওই বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনগুলোর কারণে জলবায়ু
পরিবর্তন প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো বিপথে প্রবাহিত হওয়া উচিত নয়,” ব্লগে লিখেছে
টুইটার।
শুক্রবারের আগ পর্যন্ত এ ধরনের বিজ্ঞাপনকে
‘অনুপযুক্ত কনটেন্ট নীতিমালা’র অধীনে প্রত্যাখান করে এসেছে টুইটার। শুক্রবারের ব্লগ
পোস্টের পর থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল
এবং জাতিসংঘের মতো নির্ভরযোগ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
নেওয়ার কথা জানিয়েছে টুইটার। চলতি মাসের শুরুতেই
প্রকাশিত আইপিসিসি প্রতিবেদন বলছে, গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিংসরণ কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা
বৃদ্ধি মোকাবেলা করতে চাইলে সব খাতকে এখনই তৎপর হতে হবে।
ব্যবহারকারীদের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে
সঠিক তথ্য পাওয়ার পথ সহজ করে দিতে গত বছরেই আলাদা ‘টপিক’ চালু করেছে টুইটার। এ ছাড়াও
ওয়েবসাইটের ‘এক্সপ্লোর’ ট্যাব, ‘সার্চ’ এবং ‘ট্রেন্ডস’ অংশ থেকেও নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র
‘হাব’-এ যাওয়ার সুযোগ রেখেছে তারা।
তবে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে জলবায়ু নিয়ে
মিথ্যাচার টুইটারের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা নয়। বরং, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের
নিয়ন্ত্রণে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কনটেন্ট মডারেশন প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে
কড়া ভাষায় টুইটারের সমালোচনা করেছেন মাস্ক।