ক্যাটাগরি

‘অপরাজেয় শক্তির’ দম্ভ করে নিজেদের গুণ গাইল উত্তর কোরিয়া

সোমবার উত্তর কোরিয়া তাদের ‘কোরিয়ান পিপলস রেভল্যুশনারি আর্মি’র ৯০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করবে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উত্তর কোরিয়া এদিন বড় ধরনের সামরিক প্যারেডের আয়োজন করবে। সেখানে তারা নতুন নতুন অস্ত্র প্রদর্শন করবে। যার মধ্যে পরমাণু অস্ত্রও থাকতে পারে।

এ বছর বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এত কম সময়ের ব্যবধানে এতগুলো পরীক্ষা অতীতে আর কখনও চালায়নি দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কা ২০১৭ ‍সালের পর আবারও দেশটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করছে। ঘন ঘন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রোববার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-র খবরে দেশের সামরিক নানা অর্জনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।

এর মধ্যে আছে, ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধ যুগ জুড়ে ছোটখাট সংঘর্ষ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংপেয়ন দ্বীপে ২০১০ সালের বোমা হামলার ঘটনাও।

খবরে আরও বলা হয়, ‘‘উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে আক্রমণ শানানো এবং প্রতিরক্ষা জন্য উপযোগী দু’ধরনের অস্ত্রই আছে। তারা আধুনিক যেকোনও যুদ্ধই লড়তে সক্ষম।”

নেতা কিম জং উনের ‘প্রতিভাধর সামরিক আদর্শ, অসামান্য সামরিক নির্দেশনা এবং অতুলনীয় মনোবল ও সাহসের’ প্রশংসাও করা হয় খবরে। বলা হয়, তার নেতৃত্বে দেশ ‘অপরাজেয় শক্তি’ অর্জন করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়ুনহাপ সংবাদ সংস্থার খবরেও সোমবার বড় ধরনের সামরিক প্যারেড আয়োজনের ইঙ্গিত পাওয়ার কথা বলা হয়।

ইয়ুনহাপ জানায়, প্যারেডে ২০ হাজার সেনা অংশ নেবে। সেইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭ ও থাকবে।

এছাড়া, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থাও প্রদর্শন করা হতে পারে।

গত কয়েক সপ্তাহের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সেনা প্যারেডের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।