সোমবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কালকের টিকিটের জন্য যদি লোকজন আজকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে আমাদের কী করার আছে বলেন?
“আজকের টিকিট নিয়ে তো কারো কোনো অভিযোগ নেই। কারণ আমরাতো সিস্টেম করেছি, অন্য কোনো জালিয়াতির সুযোগ নেই। আপনি আইডেনটিটি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটবেন, আপনার টিকিট দিয়ে আমি যেতে পারব না।”
রেলওয়ের কর্মকর্তারাও কালোবাজারিতে জড়িত বলে যে অভিযোগ আছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, “কালোবাজারি কীভাবে করবে? আমি যদি আপনার টিকিটে না যেতে পারি, তো টিকেট নিয়ে কী করব? একজন চারজনের টিকেট নিলে চারজনের আইডি কার্ডই জমা দিতে হবে।”
ই-টিকেটিংয়ের নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার সহজ, সিনেসিস ও ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনলাইনে টিকেট পেতে ভোগান্তির যে অভিযোগ আসছে, সে বিষয়েও মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়।
উত্তরে সুজন বলেন, “সহজ তারা সমস্ত টিকিট বিক্রি করেছে। এনআইডি কার্ড দিয়েই তারা বিক্রি করেছে। তারা অর্ধেক বিক্রি করতেছে, আর আমরা অর্ধেক কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করছি।”
ভোগান্তির চিত্র পাল্টাচ্ছে না কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মানুষের চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেনের সংখ্যা কম। প্রতিদিন ৫০ লাখ লোক যাতায়াত করবে। রাস্তার সক্ষমতা হলো মাত্র ১৫ লাখ।
“আমাদের রেলের সক্ষমতা অনুযায়ী আমরা টিকিট বিক্রি করছি। সবাই টিকিট পাবে না। ৫ লাখ লোক যদি যেতে চায়, সেখানে আমি দিতে পারি ২০ হাজার।”
ই-টিকেটিংয়ের দায়িত্বভার ‘সহজ’ পেয়ে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন ‘অবশ্যই’ হয়েছে।
“টিকেট যার, ভ্রমণ তার- এটা আমরা নিশ্চিত করেছি। কাজেই কারও টিকেট অন্য কারও কাটার কোনো সুযোগ নেই। আমি অন্য কারও টিকিট কাটতে পারি, তবে যার নামে কাটছি- তাকেই ভ্রমণ করতে হবে। কারণ টিকেটে যার পরিচয়পত্র, তার একটি নম্বর থাকবে।”
এ পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলছিলেন, “আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটা আপনারা ২৭ তারিখ থেকে যখন ঈদ যাত্রা শুরু হবে, তখন দেখতে পাবেন।”
এর আগে টিকেট কাউন্টারগুলো পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তখন নানা ভোগান্তির পাশাপাশি টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।