রোববার ব্লিনকেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন কিইভে অঘোষিত সফর করেন। সফর শেষে ফেরার পর পোল্যান্ডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ব্লিনকেন এই দাবি করেন।
কিইভে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস শিগগিরই পুনরায় খুলে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা।
দুইজনই বলেছেন, তারা ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে সফর করতে পেরেছেন- এটিই ইউক্রেইনের শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রমাণ দিচ্ছে। তাদের দৃঢ় অবস্থানের মুখে গত মাসে কিইভে হামলা ছেড়ে পিছু হটতে মস্কো বাধ্য হয়েছে।
ইউক্রেইনের ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন, “কিইভের লড়াইয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে আপনারা যা করেছেন তা অসাধারণ এবং বাদবাকি বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।”
ওদিকে ব্লিনকেন বলেন, রাশিয়ার ভয়াবহ আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতে ইউক্রেইনের অসাধারণ সাহস, নেতৃত্ব এবং সফলতার কারণেই তারা সেখানে আবার ফিরে গেছেন।
ব্লিনকেন এবং অস্টিন ইউক্রেইনের জেলেনস্কি সরকার এবং ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশকে ৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার নতুন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। বাড়তি আরও ৩২ কোটি ২০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা মিলে আগ্রাসনের শুরু থেকে ইউক্রেইনকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ ৩৭০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে জানান এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পোলান্ডে সাংবাদিকদের ব্লিনকেন বলেন, “আমরা ইউক্রেইনকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দেওয়ার যে কৌশল নিয়েছি, সেটি রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের একক চাপ। এই প্রচেষ্টায় ৩০ টিরও বেশি দেশ সংহতি প্রকাশ করেছে এবং এতে বাস্তবিকই ফল হচ্ছে।”
“আর রাশিয়ার ইউক্রেইন যুদ্ধের লক্ষ্যের প্রসঙ্গ এলে বলতে হয়, ইউক্রেইনই সফল হচ্ছে। রাশিয়ার প্রধান লক্ষ্য ছিল ইউক্রেইনকে দখল করে নেওয়া, দেশটির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া- সেসব লক্ষ্যই ব্যর্থ হয়েছে।”
কিইভ সফরকালে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিন ঘন্টা বা দ্বিগুণেরও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেছেন মাকিন কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পর এক বার্তায় ব্লিনকেন জানান, তিনি এবং অস্টিন পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে করে কিইভে গেছেন এবং সদলবলে সেখানকার বেশ কিছু সড়ক ও এলাকা ঘুরে দেখে বুঝতে পেরেছেন রাশিয়া যুদ্ধে কিছুই জিততে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সফরকালে ব্লিনকেন এবং অস্টিন ইউক্রেইনকে যে সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাতে দেশটির প্রয়োজন মিটবে বিশেষ করে দনবাসের লড়াইয়ে তাদের জন্য সহায়ক হবে এই সহায়তা।