সোমবার বিকালে সড়ক বিভাগের সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন সংযোগ সড়ক-২ এর (সাসেক) প্রকল্প পরিচালক ওয়ালিউর রহমান সেতুটির একপাশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেন। এরপরই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
রায়গঞ্জ উপজেলায় ফুলজোড় নদীর উপর এই সেতু ৯০০ ফুট দীর্ঘ এবং ৬২ ফুট প্রশস্থ।
এ সময় ওয়ালিউর রহমান বলেন, নতুন নলকা সেতুর খুলে দেওয়া পাশ দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল এবং পাশের পুরাতন নলকা সেতু দিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো চলাচল করতে পারে।
এর আগে হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনায় আরও একটি নির্মাণাধীন সেতুর একপাশ খুলে দেওয়া হয়েছে।
মহাসড়কে যানজট এড়াতে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধ রাখা এবং লেন মেনে গাড়ি চালানোর আহবান জানিয়ে চালকদের উদ্দেশে ওয়ালিউর রহমান বলেন, দুই বছর পর মানুষ এবার পরিবারের সাথে ঈদ করার সুযোগ পাচ্ছে। এজন্য মহাসড়কে এবার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেশি থাকবে। মহাসড়কে যাতে সার্বক্ষণিক দুই লেনে গাড়ি চলতে পারে, সেই লক্ষ্যে সড়কগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের পাশাপাশি সওজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সড়কে থাকবে। এজন্য সওজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী টি এম নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, সাসেক-২ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান ও সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু পশ্চিম সংযোগ সড়ক থেকে চান্দাইকোনা বাজার পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম সংযোগ সেতু থেকে হাটিকুমরুল চৌরাস্তা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার। উত্তরের ১৬ জেলা আর দক্ষিণের ছয় জেলার সব যানবাহনকে এই ২২ কিলোমিটার অর্থাৎ হাটিকুমরুল চৌরাস্তা পর্যন্ত যেতে হয়।
এরপর চৌরাস্তা থেকে তিনটি মহাসড়ক তিন দিকে গেছে। একটি নাটোর-বনপাড়ার দিকে, একটি হাটিকুমরুল-বগুড়ার দিকে এবং অপরটি হাটিকুমরুল-পাবনার দিকে। ফলে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম সংযোগ সেতু থেকে হাটিকুমরুল চৌরাস্তা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কে।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে কড্ডা মোড়, পাঁচলিয়ার বাজার, হাটিকুমরুল চৌরাস্তা ও চান্দাইকোনা বাজার এলাকায় ইট ও মাটি ফেলে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: