স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ১৮ থেকে
২৪ এপ্রিল দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, আগের সপ্তাহে এই
সংখ্যা ছিল ২৬১ জন। অর্থাৎ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে
করোনাভাইরাসে। এর আগের সপ্তাহে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সে হিসাবে মৃত্যু বেড়েছে ২০০ শতাংশ।
তবে গত ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২০ এপ্রিল
একজনের মৃত্যুর পর গত পাঁচ দিনে দেশে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার
সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ২৭ জনের কোভিড
শনাক্ত হয়েছে।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের
হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ
পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৩ জন হয়েছে। গত একদিনে কারও
মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন
আরও ২৯৯ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এ হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা
২৯ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২০ জন ঢাকা বিভাগের, যাদের সবাই ঢাকা
মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া ময়মনসিংহ জেলায় ৫ জন, নওগাঁ জেলায় ১ জন, রংপুর জেলায় ১ জন রোগী
শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। দেশের বাকি ৬০টি জেলায় একদিনে কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক শুন্য ১ শতাংশ।
আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড
১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট
২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ১৮ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ৯৫ লাখের বেশি।