আইপিএলে রোববার লক্ষ্নৌ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৩৬
রানে হেরে যায় মুম্বাই। এবারের আসরে আট ম্যাচ খেলে তাদের হার সবকটিতেই।
আইপিএলে টানা সবচেয়ে বেশি হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর
রেকর্ড তারা করে ফেলেছে আগেই। এখন তা বেড়ে চলেছে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রোববার মুম্বাইয়ের বোলাররা খারাপ
করেননি। লক্ষ্নৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ২০ ওভার পুরো খেলে ৬২ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন
বটে। তবে বাকি ব্যাটসম্যানরা ৫৮ বল খেলে নিতে পারে স্রেফ ৫৭ রান। সঙ্গে অতিরিক্ত মিলে
লক্ষ্নৌ তুলতে পারে ১৬৮ রান।
লক্ষ্যটা তাই ছিল নাগালেই। কিন্তু মুম্বাই পারেনি
কাছাকাছি যেতেও। ওপেনিংয়ে ইশান কিষান ৮ রান করতে খেলেন ২০ বল। রোহিত নিজে দারুণ শুরু
করেও স্লগ সুইপ করে উইকেট বিলিয়ে আসেন ৩১ বলে ৩৯ করে।
এরপর ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, সূর্যকুমার যাদবরা ভালো করতে
পারেননি। কাইরন পোলার্ডের ১৯ রান আসে ২০ বলে।
ম্যাচের পর রোহিত হারের দায় সরাসরিই দিলেন দলের ব্যাটিংকে।
“লক্ষ্য যখন এই ধরনের থাকে, জুটি গড়ে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা তা করতে পারিনি এবং কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলেছি, আমিও নিজেও সেখানে আছি। প্রয়োজনীয়
মোমেন্টামই আমরা পাইনি।”
শুধু এই ম্যাচেই নয়, ব্যাটিং মুম্বাইকে ভোগাচ্ছে টুর্নামেন্টজুড়েই।
৮ ম্যাচে মাত্র ৬টি ফিফটি করতে পেরেছে দলের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটির
পর ইশান কিষান ম্যাচের পর ম্যাচ ধুঁকছেন। রোহিত নিজে ৪১ রান করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন,
রোববার ৩৯ করার আগে টানা ৬ ম্যাচে ৩০ রানও ছুঁতে পারেননি।
‘বেবি এবি’ নামে পরিচিতি পেয়ে যাওয়া ব্রেভিস কিছু
ঝলক দেখিয়ে এখন মিইয়ে গেছেন। কাইরন পোলার্ডের যাচ্ছেতাই অবস্থা। ৮ ম্যাচ খেলে ২৫ ছাড়াতে
পারেননি এক ইনিংসেও। সূর্যকুমার ও তরুণ তিলক ভার্মা যা একটু টানছেন দলের ব্যাটিং। সেটিও
অসাধারণ কিছু নয়।
রোহিত নিজেও তুলে ধরলেন দলের ব্যাটিং দীনতার সেই ছবি।
এই দলের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে, ‘মেন্টর’ হিসেবে আছেন শচিন টেন্ডুলকার। কিন্তু তারা
তো মাঠে গিয়ে খেলতে পারেন না! মুম্বাই অধিনায়ক দায় নিচ্ছেন নিজেদের ঘাড়েই।
“গোটা টুর্নামেন্টেই আমরা যথেষ্ট ভালো ব্যাট করিনি।
পুরো ব্যাপারটিই (দলের ব্যর্থতার দায়) ব্যাটিং ইউনিটের ওপর বর্তায়। মাঠে যে নামে, দায়িত্ব
তাকেই নিতে হয়। অন্তত একজন ব্যাটসম্যানকে লম্বা ইনিংস খেলতে হয়। টুর্নামেন্টে আমরা
তা করতে ব্যর্থ হয়েছি।”
“আমাদের কোনো ব্যাটসম্যান লম্বা ইনিংস খেলতে পারেনি,
অন্য দলের ব্যাটসম্যানরা যা পেরেছে। আমাদের
এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন পরিস্থিতি যেমনই হোক, একজনকে লম্বা সময় ব্যাট করতেই
হবে।”