সোমবার তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, তেঁতুল তলা খেলার মাঠ আন্দোলনের
নেতৃত্বদানকারী সৈয়দা রত্না ও তার পুত্র প্রিয়াংশুকে ‘অন্যায়ভাবে
গ্রেপ্তার করে’ থানায় বন্দি রাখার তীব্র
প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
“যদিও ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে জনমতের চাপে তাদের
মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে, কেন কোনো প্রকার প্রতিবাদ করলে সাথে সাথে
সেই প্রতিবাদকারীকে এদেশে গ্রেপ্তার হতে হয়।”
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে গাফ্ফার চৌধুরীর সঙ্গে রয়েছেন সৈয়দ হাসান ইমাম,
অধ্যাপক অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, আবেদ
খান, সেলিনা হোসেন, আবদুস সেলিম, লায়লা হাসান, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, শফি
আহমেদ, শাহরিয়ার কবীর, মুনতাসীর মামুন, নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, সারা যাকের, শিমূল
ইউসুফ, হারুন হাবীব।
কলাবাগান থানা ভবনের জন্য তেঁতুল তলা মাঠটি বন্দোবস্ত দেওয়া হলে
স্থানীয়দের নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কর্মী সৈয়দা রত্না।
রোববার সকালে পুলিশ পাহারায় মাঠটিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু
হলে সেখানে গিয়ে ফেইসবুক লাইভ শুরু করেছিলেন তিনি।
তখন পুলিশ রত্না ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়,
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৩ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাঠ রক্ষার আন্দোলনকারীকে আটকে রেখে দেয়াল তুলছে পুলিশ
কলাবাগানের মাঠ রক্ষার আন্দোলনকারী রত্নাকে ১৩ ঘণ্টা পর ছাড়ল পুলিশ
কোন আইনে রত্নাকে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হল, প্রশ্ন পুলিশকে
মাঠ না থানা, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকার কলাবাগানের তেঁতুল তলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে প্রিয়াংশুকে রোববার দিনভর আটকে রাখার পর মধ্যরাতে ছেড়ে দেয় কলাবাগান থানা পুলিশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এভাবে মত প্রকাশে বাধা
দেশকে স্থবির করে দিচ্ছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন বলতে চাই যে, শত পথ, শত মতের দেশ
বাংলাদেশ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য নির্মাণের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে।
“পুলিশ সৈয়দা রত্না ও প্রিয়াংশুকে খেলার মাঠ দাবি
আদায়ের আন্দোলন থেকে সরে আসবে এরকম মুচলেকায় ন্যক্কারজনকভাবে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের
মুক্তি দিয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। আমরা এই হীন মুচলেকার তীব্র
প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও একই সাথে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।”
তেঁতুল তলা মাঠ খেলার জন্য বরাদ্দ দিয়ে কলাবাগান থানা ভবনের জন্য
অন্য কোনো জায়গা খুঁজতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা এ প্রসঙ্গে
ঢাকাসহ দেশের সকল শহরে শিশু-কিশোরদের পরিপূর্ণ বিকাশের উপযুক্ত মাঠ ও আধুনিক সুযোগ
সুবিধা সম্বলিত স্থানের অপ্রতুলতার কথা সরকার ও প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে এর আশু
সমাধানের দাবি জানাই। সবশেষে আমরা সৈয়দা রত্না ও তার পুত্র প্রিয়াংশুকে তাদের
প্রতিবাদ ও সাহসী সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির জন্য সাধুবাদ ও অভিবাদন জানাই।”