সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর সাতমাথায় আলু ফেলে দিয়ে এ প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশ করে চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
এ সময় আলুচাষি লতিফুল ইসলাম বলেন, তারা অনেক টাকা খরচ করে আলুর আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন আলুর দাম নেই।
“আমরা আলুচাষিরা তাহলে কী করবো? আলুর যে দাম, আমাদের যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকাই তো বিক্রি করে পাচ্ছি না।”
আলুচাষি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “আমরা এ আলুগুলো কী করবো? আর কোল্ড স্টোরেজে রাখা যাচ্ছে না। দিন গেলেই আলু পচে যায়। আমরা তো বাড়িতে রাখছি। মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আবাদ করছি, বিক্রি করে ধারদেনা পরিশোধ করবো। কিন্তু তা আর পারছি না।“
আলু ব্যবসায়ী রাজ্জাকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাই, আলু কিনব কেমন করে, প্রতিদিন আলুর বাজার উঠানামা করে। আজ যদি কিনি সাড়ে নয় টাকায়, কাল সেটা নয় টাকায় চলে আসে। তাহলে কিনব কেমন করে?
“প্রতিটি ব্যবসায়ীই তো এখন ক্ষতিগ্রস্ত। লাভ তো দূরের কথা মূলধনও থাকে না।”
রাজ্জাকুল আরও বলেন, “সরকার যদি আমাদের দেশের আলু বিদেশে রপ্তানি করতো তাহলে দেশের আয়ও বাড়ত, কৃষকও বাঁচত।”
আলুচাষিরা বলেন, সরকার যদি আলু বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা নিত তাহলে আজ এ অবস্থা হতো না।