ফুলগাজী থানার ওসি মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন জানান, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের কিসমত বাশুড়া গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। রাতে ওই নারীর বড় ছেলের ঘরের নাতনি মাহমুদা বাদি হয়ে মামলা করেন।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মায়া বেগম (৬০) এবং তার তিন সন্তান নাজমা আক্তার (৩০), আবদুল মোতালেব (২৬) ও আবদুল মুনাফ (২৪)।
এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা শাকিল আহমেদ একই গ্রামের শামছুল হুদার ছেলে। তিনি নিজেকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা বলে দাবি করলেও দলে তার কোনো পদ নেই।
মামলায় শাকিলসহ (২০) অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার বরাতে ওসি বলেন, রোববার সকালে মায়া বেগমের বড় ছেলে আবদুল হাইয়ের সঙ্গে একই বাড়ির ফটিক মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ফটিক তার মামা শামছুল হুদাকে খবর দেন। পরে শামছুল তার ছেলে শাকিল আহমেদসহ পাঁচ-ছয়জনকে নিয়ে গিয়ে মায়া ও তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তিন সন্তানকে হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।
এ সময় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ফুলগাজী থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় বলে জানান মঈন উদ্দীন।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শোয়েব ইমতিয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখা গেছে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের কাছে শাকিলের দলীয় পদবি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শাকিলের ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটিতে কোনো পদ নেই। সে মাঝেমধ্যে মিটিং-মিছিলে আসে।”
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে শামছুল হুদা বলেন, “দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও আমাদের মারধর করেছেন। আমরাও মারধর করেছি।”
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবারটি মারধরের বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
পুলিশও ঘটনাটি তদন্ত করছে জানিয়ে ওসি বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাকিলের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।