৪৪ বিলয়ন ডলারে টুইটার অধিগ্রহনের ঘোষণার কিছু সময় আগে মাস্ক টুইট করেছিলেন, “আমি আশা করি, টুইটারে আমার সবচেয়ে খারাপ সমালোচকও থাকবে। কারণ, এর মানেই হচ্ছে বাকস্বাধীনতা।”
মাস্কের এই প্রতিশ্রুতিকে ‘হালকা যাচাইয়ের’ মুখোমুখি করেছেন টেক ধনকুবের জেফ বেজোস।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদকের টুইটের উদ্ধৃতি দিয়ে, চীনে টেসলার ব্যবসায়িক স্বার্থ, টুইটার কীভাবে দেশটির সরকারকে সুবিধা দেবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
“মজার প্রশ্ন। চীনের সরকার কি তাহলে ‘টাউন স্কয়ার’-এ সামান্য সুবিধা লাভ করেছে?” –টুইট করেছেন বেজোস।
তবে, মাস্কের টুইটার কেনা নিয়ে প্রশ্ন, মতামত ও সমালোচনা যে কেবল জেফ বেজোসেরই আছে, এমন নয়। সম্ভবত বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ‘আপত্তি’ টুইটার কর্মীদের রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মালিক বেজোসের নেট সম্পদ ১৭ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার, যেটি মাস্কের সম্পদ ২৬ হাজার ৪৬০ কোটি ডলারের চেয়ে অনেকটাই পেছেনে।
ইলন মাস্কের টুইটার কেনার চুক্তিটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আপত্তি ছাড়াই শেষ হচ্ছে বলে ধারণা করছে ভার্জ। তবে, বিদেশী সরকারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে, বেজোস তার ‘খোঁচা’ দেওয়া টুইটের ৯০ মিনিট পর নতুন দুটি টুইট করে বিষয়টি আর এগোতে দেননি।
“সম্ভবত না” –চীনের প্রভাব নিয়ে প্রশ্নের উত্তর হিসেবে টুইটে বলেন বেজোস।
But we’ll see. Musk is extremely good at navigating this kind of complexity.
— Jeff Bezos (@JeffBezos) April 26, 2022
“তবে আমরা দেখব, এমন জটিলতা যাচাইয়ে যথেষ্ট পারদর্শী মাস্ক।”