মামলার ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।
আসামিদের মধ্যে আশিকুর রহমান, ইলিয়াছ মিয়া, মো. রুমিন ও মো. রবিনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর আসামি মো. ইব্রাহিম ও আবদুর রহমান মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারনুর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
ধর্ষণ করে ভিডিও: নরসিংদীতে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৩ সনের ২৩ মে প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক (২০) কর্মস্থল থেকে বাগপাড়া গ্রামে কোম্পানির মেসে ফিরছিলেন। পথে জনতা জুট মিল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তাকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখে।
ওই নারী পরদিন বিষয়টি প্রাণ আরএফএল কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে জানান। পরে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন এসআই বিপ্লব কুমার দত্ত ২০১৩ সালে ১৫ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ। তাদের মধ্যে দুজন এখন খালাস পেলেন, চারজনের সাজা কমে গেল।