ক্যাটাগরি

নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ: বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর আগাম জামিন

মঙ্গলবার তাদের আবেদেনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারলে শাহীন আহমেদ খান।

জামিন পাওয়া ১৪ জন হলেন: নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন হাওলাদার, সাবেক সহসভাপতি শাহ আলম মন্টু, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রহমত, বিল্লাল; নিউ মার্কেট যুব দলের আহবায়ক আমীর হোসেন আলমগীর, সদস্য সচিব মিজান ব্যাপারী, সাবেক সহ সম্পাদক জাপানি ফারুক, সাবেক যুবদল নেতা বাবুল; ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক নেতা মিজান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসিফ, জুলহাস; নিউ মার্কেট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মনির।

ছয় সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে হাই কোর্টের আদেশে।

গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের টেবিল বসানো নিয়ে নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মীদের বচসার পর এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীকে ডেকে আনে। তারা গিয়ে মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে বাঁধে সংঘর্ষ।

এর ধারাবাহিকতায় পরদিনও দিনভর সংঘর্ষ চলে, তাতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। তাদের দুজন পরে হাসপাতালে মারা যান।

ওই ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে, যার মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করেন নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।

বিএনপির ২৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে কয়েকশ মানুষকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। মামলার প্রধান আসামি নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

যে দুটি দোকানের কর্মীদের বচসাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও জড়িয়ে বড় ধরনের সংঘাত হয়, সেই দোকান দুটির মালিক মকবুল। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই তাকে আসামি করা হয়েছে।

আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, “২৪ জনের বিরুদ্ধে যে মামলাটি পুলিশ করেছে, তার মধ্যে ২৩ নম্বর আসামি মিন্টু মারা গেছেন দুই বছর আগে। তিনি যুবদলের রাজনীতি করতেন। আর চার নম্বর আসামি ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি টিপু সাত বছর ধরে জাপানে আছেন।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এ মামলা দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করেছে।”