ঈদের পরে
সরকারপতনের আন্দোলন শুরুর যে ইংগিত বিএনপি নেতারা দিয়ে আসছেন, তা তাদের পক্ষে আদৌ
সম্ভব কি না, সে প্রশ্নও তিনি তুলেছেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, “‘এই ঈদের পরে, আগামী ঈদের পরে’ আন্দোলনের এ রকম দিনক্ষণ তারা আগেও
দিয়েছে। এর জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বিএনপি আসলে আন্দোলন করতে পারবে কি না।
“তারা যেভাবে ঢাকা শহরে দুই কোটি মানুষের মধ্যে দুইশ মানুষের বিক্ষোভ করে, এতেই বোঝা যায় বিএনপি আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে।”
তিনি বলেন,
“সরকারের যদি ভুলত্রুটি থাকে, আমরা চাই সেগুলো
বিএনপি তুলে ধরুক। তাদের আন্দোলন শুধুমাত্র তারেক রহমানের শাস্তি আর খালেদা জিয়ার
স্বাস্থ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে এটিই আমাদের কামনা। তারা জনগণের বিষয় নিয়ে
কথা বলবে, সরকারের ভুলত্রুটি থাকলে সেগুলো তুলে ধরবে,
সেটিই আমরা চাই “
ঢাকার
নিউ মার্কেটের ঘটনা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে এই
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “সেই ঘটনায় বিএনপির
স্থানীয় নেতারা যে ঘি ঢেলেছে, পুলিশের কাছে সেই তথ্য আছে। যে
দুই দোকান কর্মচারীর মধ্যে বচসা, সেই
দুই দোকানের মালিক কিন্তু বিএনপি নেতা।
“সুতরাং এই বচসা ঘটানোর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে কি না সেটি তো অবশ্যই খুঁজে
বের করতে হবে। তবে নিউ মার্কেটের ঘটনায় যারাই যুক্ত, তারা যে
দলের বা যে মতেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হবে।”
দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ইংরেজি পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা হালনাগাদ
করে বাস্তবতার কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলা পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা সেটা
খুব সহসা করে দেব। অনেক পত্রিকা, যেগুলো আসলে ঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না, সেগুলোর বিপুল প্রচার সংখ্যা দেখানো হয়েছে, এ সব
অসংগতি দূর করে আমরা এগুলো ঠিক করছি।”
যেসব
পত্রিকা মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করে না, তাদের সরকারি ক্রোড়পত্র দেওয়া হবে না
জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “ভবিষ্যতে নবম ওয়েজবোর্ড যারা বাস্তবায়ন
করবে না, সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটি নিয়েও ভাবছি।”
এর
আগে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন মন্ত্রী।
সেখানে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর
আগ্রহেই এই কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে এবং আজকে এই ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার
জায়গা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট অত্যন্ত সুচারু এবং স্বচ্ছভাবে
পরিচালিত হচ্ছে।
“ট্রাস্ট পরিচালনার সাথে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ যুক্ত আছেন, যা উপকারভোগী নির্বাচনে সহায়ক হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টের
আওতায় অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা সহায়তা নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।”
কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক
দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার
হোসেন, প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও
সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম মাহফুজুল
হক, ডিইউজের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কল্যাণ
ট্রাস্টের সদস্য সেবিকা রাণী উপস্থিত ছিলেন।