ক্যাটাগরি

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর কলার প্রভাব

কলা খেতে সুস্বাদু, দামে অন্যান্য ফলের
তুলনায় সস্তা এবং ফলের দোকানের পাশাপাশি, মুদি দোকান, চায়ের দোকান সবখানেই কলা পাওয়া
যায়।

পুষ্টি উপাদান তো কলাতেই আছেই। সেই সঙ্গে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরে ফলটির অত্যন্ত উপকারী প্রভাব আছে বলে জানান পুষ্টিবিদরা।

মৌসুমি রোগ থেকে সুরক্ষা

শীতের আগে পরে, বর্ষায় মৌসুমি রোগ হিসেবে
সর্দিজ্বরের প্রকোপ বাড়ে।

২০২০ সালে ‘প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল
অ্যাকাডেমি অফ সাইন্সেস অফ দ্য ইউনাইডেট স্টেটস অফ আমেরিকা (পিএনএএস)’য়ে বলা হয়, “কলাতে
থাকে ‘লেকটিন’ নামক এক প্রকার অহজমযোগ্য প্রোটিন। এটি শর্করার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মৌসুমি
রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

বিশেষত, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা’ রোগের অনেকগুলো
ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে পারে এই উপাদান।

কোলোরেক্টাল বা মলাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল
অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’য়েল মতে, যুক্তরাষ্ট্রে যে ক্যান্সারগুলোর প্রকোপ সবচাইতে
বেশি এর মধ্যে তৃতীয় হলো ‘কোলোরেক্টাল ক্যান্সার’। প্রাণঘাতি ক্যান্সারের তালিকাতেও
এর অবস্থান তৃতীয়। যেসব খাবারে ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ‘ থাকে সেগুলো খেলে এই ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমে। আর কলা তেমনই একটি ফল।”

‘কারেন্ট অপিনিয়ন ইন গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি’
শীর্ষক সাময়িকিতে প্রকাশিত গবেষণার উদ্ধুতি দিয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে
জানানো হয়, “রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ প্রদাহ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর এবং ‘কোলোরেক্টাল
ক্যান্সার’য়ের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।”

শরীরচর্চার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা

শরীরচর্চার সময় শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি
পাওয়া জন্য প্রোটিন বার’য়ের বদলে কলা বেছে নিতে পারেন।

‘পিএলওএস ওয়ান’য়ে প্রকাশিত ২০১২ এর জরিপে
দেখা যায়, ৭৫ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর আগে যারা কলা খেয়েছিলেন তাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা সাইকেল চালানো পর অন্যান্যদের তুলনায় বেশি পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি শরীরচর্চার কারণে শরীরের যে
প্রদাহ ও ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ থাকে সেটাও কম পাওয়া গেছে কলার কারণেই। 

অস্ত্রোপচার পরবর্তী সমস্যা কমায়

অস্ত্রোপচারের পর অনেক রোগীর বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ‘গ্রাফ্ট-ভারসেস-হোস্ট ডিজিজ (জিভিএইচডি)। এই রোগগুলোর আশঙ্কা
কমাতে উপকারী হয় কলা।

‘নার্স ইমিউনোলজি’তে প্রকাশিত গবেষণায়
জানা যায়, “কলাতে থাকা ‘রেজিস্ট্যান্ড স্টার্চ’ মানুষের হজমতন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া
বাড়ায়। সেটাই পক্ষান্তরে ‘জিভিএইচডি’য়ের আশঙ্কা কমে।”

অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিকারী কোষের
সিংহভাগই থাকে অন্ত্রে বা হজমতন্ত্রে। তাই সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও মূখ্য ভূমিকা পালন করে ওই ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’।

‘আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি’
সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল বলে ‘লিপিড মেটাবলিজম’য়ের মাত্রা বাড়ানো মাধ্যমে
অন্ত্র ভালো রাখে কলা।

আরও পড়ুন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফল
 

দিনে দুটি কলা খাওয়ার উপকারিতা
 

ফল খাওয়ার সঠিক পন্থা