১৯০৩ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই সময়টি ছিল বিশ্ব শক্তি হিসেবে জাপানের উত্থানের সময়।
আর যে বছরটিতে জন্মেছিলেন, সেই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট এবং যুক্তরাজ্যের রাজা ছিলেন সপ্তম এডওয়ার্ড।
ওই একই বছরে রাইট ভাতৃদ্বয় প্রথমবারের মতো বিমান উড়িয়েছিলেন এবং প্রথম নারী হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ফ্রান্সের মারি কুরি।
বিবিসি জানায়, তানাকা বিয়েও করেছিলেন শত বছর আগে। জন্ম দিয়েছিলেন চার সন্তান।
জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি কাটিয়েছিলেন জাপানের একটি কেয়ার হোমে। সেখানে বোর্ড গেম খেলে এবং চকোলেট খেয়েই সময় কাটত তার।
৯ ভাই-বোনের মধ্যে তানাকা ছিলেন সপ্তম। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন তিনি। জীবিকা হিসেবে নুডলসের দোকান থেকে শুরু করে নানা ব্যবসায় তিনি জড়িয়েছিলেন।
তার মৃত্যুতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হচ্ছেন- ১১৮ বছর বয়সী এক ফরাসি নান। তার নাম লুসিল রাঁদও।
২০১৯ সালে কানে তানাকা বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ওই মুহূর্তটিকে জীবনের সবচেয়ে সুখী সময় বলে বর্ণনা করেন তিনি।
২০২১ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত টোকিও অলিম্পিকসে তানাকার মশাল হাতে নেওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।
রেকর্ড অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ফরাসি নারী জ্যান ক্যামোকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর ১৬৪ দিন বয়সে মারা যান তিনি।