ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন দলের যে
মহারণ হতে যাচ্ছে আগামী জুনে, সেটিই হবে কিয়েল্লিনির শেষ ম্যাচ। ‘ফিনালিস্সিমা’ নামের
এই ম্যাচে আগামী ১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলিতে মুখোমুখি হবে ইতালি ও আর্জেন্টিনা।
গত জুলাইয়ে এই মাঠেই কিয়েল্লিনির নেতৃত্বে
ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি। ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য যেখানে পেয়েছেন, সেই মঞ্চ থেকেই
বিদায় নিতে চান তিনি।
“ওয়েম্বলিতেই জাতীয় দলকে বিদায় জানাব আমি,
যে মাঠে ইউরো জিতে ক্যারিয়ারের চূড়ায় স্পর্শ করার স্বাদ পেয়েছিলাম।”
“ভালো কোনো স্মৃতি নিয়ে জাতীয় দলকে বিদায়
বলতে চাই। ওই ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই হতে যাচ্ছে ইতালির হয়ে আমার শেষ ম্যাচ।”
২০০৩ সালে ইতালির হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ইউরোপিয়ান
চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা ও ২০০৪ সালের অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতেন কিয়েল্লিনি। জাতীয় দলের
জার্সি প্রথম গায়ে চাপান ২০০৪ সালের নভেম্বরে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৭ সাল থেকে
মোটামুটি নিয়মিত হয়ে ওঠেন ইতালির রক্ষণ প্রহরী হিসেবে।
চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ১১৬ ম্যাচ
খেলেছেন কিয়েল্লিনি। ইতালির জার্সিতে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে স্রেফ
চার ফুটবলারের।
২০০৪ সালেই কিয়েল্লিনি নাম লেখান ইউভেন্তুসে।
শুরুতে এক মৌসুম ফিওরেন্তিনায় ধারে খেললেও পরের মৌসুম থেকে ইউভেন্তুসে আছেন তিনি, দীর্ঘ
পথচলায় হয়ে উঠেছেন ক্লাবের কিংবদন্তি। জাতীয় দল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেও ক্লাব ক্যারিয়ার
নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু ভাবেননি বলেই জানালেন ইউভেন্তুসের হয়ে ৯টি সিরি আ শিরোপা জয়ী
ডিফেন্ডার।
“ইউভেন্তুসের সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক
শেষ হচ্ছে না। এটা কখনোই শেষ হবে না। অবশ্যই এখন থেকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত সবকিছু মূল্যায়ন
করতে হব আমার, ভেবে দেখতে হবে এবং পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে যে কোনটা সবচেয়ে
ভালো।”
“আগে চতুর্থ স্থানে থেকে লিগ শেষ করি ও কোপা
ইতালিয়া জিতে নেই। এরপর দুই পরিবারের সঙ্গে বসব, আমার ঘরে আর ইউভেন্তুসে, আলোচনা করব
সব পক্ষের জন্য কোনটি ভালো হয়। গত মৌসুমেও এরকমই হয়েছিল। আমি সময় নিয়েছিলাম এবং ইউরো
ফাইনালের পরই কেবল চুক্তিতে সই করেছিলাম। আমার এই বয়সে খুব বেশি দূরেরটা ভাবার উপায়
নেই। এটাই স্বাভাবিক।”