এর আগের ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল একদিনে এরচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
সেদিন ১৮ জন রোগী শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এ নিয়ে টানা ছয় দিন
কোভিডে মৃত্যুহীন থাকল বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ
হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৯ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩৮
শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে
১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬০২ জন হয়েছে। গত এক দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আগের
মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৩৬৪ জন। তাদের নিয়ে এ
পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ১২৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৫২ জন। অর্থাৎ তারা
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ১৫ জনই ঢাকা বিভাগের। তাদের
মধ্যে ১৩ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
বাকিদের মধ্যে রংপুর জেলায় দুইজন এবং গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙ্গামাটি
ও মেহেরপুর জেলায় একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক শুন্য ৯৭ শতাংশ।
আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট
২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ২১ হাজারের
বেশি মানুষ; আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি দুই লাখের বেশি।