নিজ প্রতিষ্ঠান ‘ব্লক’-এর মিউজিক সেবা ‘টাইডাল’-এ থাকা ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘রেডিওহেড’-এর ‘এভরিথিং ইন ইটস রাইট প্লেইস’ গানের একটি লিংক টুইটারে পোস্ট করেন সদ্য ‘ব্লক হেড’ হওয়া ডরসি। পোস্টটিকে অনেকেই স্মৃতিকাতরতা হিসেবে দেখছেন।
শীঘ্রই টুইটার প্রধান হতে যাওয়া মাস্ক এরইমধ্যে টেসলা ও স্পেসএক্স-এরও প্রধান। প্রতিষ্ঠান দুটি যথাক্রমে গাড়ি ও রকেট তৈরি করে।
এ ছাড়া, ‘নিউরালিংক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মানব মস্তিষ্কে ‘ডিভাইস বসানো’ নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডরসির ‘রহস্যময়’ টুইটটির পর, আরেকটি টুইটে ছোট একটি বার্তায় তিনি কেন এত আনন্দিত ও প্রযুক্তি শাসিত বিশ্বে একজন মানুষ হওয়ার বিষয়ে একটি অ্যালবাম থেকে গান পোস্ট করছেন, সেই কারণটি বিশ্লেষণ করেছেন।
“একটি কোম্পানি হিসেবে, টুইটার সবসময় আমার একমাত্র সমস্যা ও সবচেয়ে বড় আফসোস।” –লিখেছেন ডরসি।
“এটি ওয়াল স্ট্রিট এবং বিজ্ঞাপন মডেলের আওতায় ছিল। একে ওয়াল স্ট্রিট থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে প্রথম সঠিক পদক্ষেপ।”
টুইটারের সাবস্ক্রিপশন ব্যবসা গড়ে তোলার বিষয়ে মাস্কের ধারণাকে সঠিক হিসেবে ভাবছেন ডরসি। তার টুইট সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা করছে ভার্জ।
অন্যদিকে, টুইটার চুক্তিকে ‘অর্থ আয়ের পথ’ হিসেবে দেখছেন না বলে আগেই জানিয়েছেন মাস্ক।
“টুইটার হচ্ছে বৈশ্বিক চেতনার সবচেয়ে কাছাকাছি জিনিস।” –লিখেছেন ডরসি।
I love Twitter. Twitter is the closest thing we have to a global consciousness.
— jack⚡️ (@jack) April 26, 2022
“আমি ইলনকে একক সমাধান হিসেবে ভরসা করি। তার ‘চেতনার আলো’ প্রসারের লক্ষ্যকে আমি বিশ্বাস করি।”
Elon’s goal of creating a platform that is “maximally trusted and broadly inclusive” is the right one. This is also @paraga’s goal, and why I chose him. Thank you both for getting the company out of an impossible situation. This is the right path…I believe it with all my heart.
— jack⚡️ (@jack) April 26, 2022
‘চেতনার আলো’ বিষয়ে, মাস্কের টুইটার দখলকে সমর্থন করছেন ডরসি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উল্লেখ রয়েছে, সিদ্ধান্তটি পর্ষদে সর্বসম্মত ছিল।
তবে, ডরসির টুইটগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, নিজের উত্তরসূরি হিসেবে পরাগ আগরাওয়ালকে ‘বেছে নিয়েছেন’ তিনি। এর মানে, মাস্ক টুইটারের দখল নেওয়ার পরও থাকছেন আগরাওয়াল। সিইও হিসেবে তিনি টুইটার পর্ষদেও আছেন।
“নীতিগতভাবে, আমি বিশ্বাস করি না কারো টুইটারের মালিক হওয়া বা চালানো উচিত।” –আরও বলেন ডরসি।
বিশেষ এই সেবাকে জনগণের সম্পত্তি হিসেবে ভাবেন তিনি। তবে, যেহেতু এটি একটি কোম্পানি, এর মালিকানা কাউকে নিতেই হবে। একে একটি ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠার ট্রাজেডি’ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।
“কোম্পানিকে ‘অসম্ভব পরিস্থিতি’ থেকে টেনে তোলার জন্য তোমাদের দুজনকেই ধন্যবাদ” –লিখেছেন তিনি।
“এটিই সঠিক পথ।… আমি এটি মন থেকে বিশ্বাস করি।”