ক্যাটাগরি

ঢাবি উপ-উপাচার্য সামাদসহ তিনজনকে আইনি নোটিস

মঙ্গলবার অধ্যাপক রহমত উল্লাহর আইনজীবী মো. আমিনুল গনী টিটু তাদের নোটিস পাঠান।

নোটিসপ্রাপ্ত বাকি দুজন হলেন, অনলাইন পত্রিকা বিবার্তাটুয়েন্টিফোর ডটনেটের সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি এবং প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল।

আইনজীবী মো. আমিনুল গনী টিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে আইনি নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ ও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে বলা হয়েছে।

“অন্যথায় আমার মক্কেল তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন এবং এর সকল দায় তাদের বহন করতে হবে।”

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সেখানে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ তার বক্তব্যে মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এক পর্যায়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানান এবং তা ‘এক্সপাঞ্জ’ করার দাবি জানান। পরে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বক্তব্যের ওই অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করেন।

এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরদিন ১৮ এপ্রিল অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ক্ষমা চান। ২০ এপ্রিল এই শিক্ষককে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

আইনি নোটিসে বলা হয়, অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মূলত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শীর্ষক আলোচনায় জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং একইসঙ্গে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ‘কুলাঙ্গার’ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যক্তিগত ‘ক্ষোভ’ ও ‘ঘৃণা’ প্রকাশ করেন।


মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’: ঢাবির দায়িত্ব থেকে সরানো হল অধ্যাপক রহমতকে
 

মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’: ক্ষমা চাইলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
 

মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বিপাকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
 

“কিন্তু ১ নম্বর নোটিস গ্রহীতা (অধ্যাপক সামাদ) উক্ত বক্তব্যের প্রকৃত সত্য জেনেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার সম্মান কলঙ্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে প্রকৃত সত্য গোপন করে মনগড়াভাবে বক্তব্য সাজিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমেদকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মর্মে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে প্রতিবাদের নামে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন।”

নোটিসে বলা হয়, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের প্রকৃত সত্য ‘গোপন’ করে ‘ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ অধ্যাপক সামাদের ‘মনগড়া বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যা’ বক্তব্য তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে প্রকাশ করেছে বিবার্তা।

এর মাধ্যমে অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যক্তিগত, পেশাগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে কালিমা লেপন করা হয়েছে। তার সম্মানহানিসহ অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

‘এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন,’- বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়।