তাছাড়া মামলা তুলে নিতে স্থানীয়
চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীরা চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছে।
উপজেলার কসব ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ দিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী এই নারীর মেয়ে।
রোববার মান্দা থানায় তিনি এই
অভিযোগ করেন বলে থানার ওসি শাহিনুর রহমান জানান।
এর আগে বুধবার থানায় ধর্ষণ মামলা
করেন ওই নারী।
ওসি মামলার নথির
বরাতে বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ওই নারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে ৪৮ বছর
বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুই দফা ধর্ষণ করেন
কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তাকে ও তার মেয়েকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেওয়া
হয়। সেখানে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকে চেয়ারম্যান ছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন।
সালিশে গৃহবধূ ও তার পরিবারকে
তিরস্কার করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার
নয় হাজার টাকা সালিশের খরচ বাবদ কেটে নিয়ে অবশিষ্ট ৫১ হাজার টাকা ইউপি সদস্য
আব্দুল জব্বারের কাছে জমা রাখা হয়।
কিন্তু ভুক্তভোগী ও তার মেয়ে
সিদ্ধান্ত না মেনে সালিশ থেকে চলে যান। সালিশের পরের দিন ধর্ষণের অভিযোগ করে থানায়
মামলা করেন ওই নারী।
ওই নারীর মেয়ের অভিযোগ, ”সালিশের
সিদ্ধান্ত না মেনে মামলা করায় ওই ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মামলা
তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন। আমাদের এলাকাছাড়া ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আমার
বাবা দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আলাদা থাকেন। বাড়িতে আমি, আমার নাবালক ছেলে ও মা থাকি।
“পরিবার নিয়ে আমরা চরম
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির
সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে
ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে
এলাকায় হইচই হচ্ছিল। ঘটনার সত্যতা জানার জন্য উভয়পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনা
হয়েছিল। সেখানে কোনো সালিশ বৈঠক হয়নি বা কাউকে জরিমানাও করা হয়নি। মামলা তুলে
নেওয়ার হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।“
সালিশ বৈঠক ও মামলা তুলে নিতে
হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি শাহিনুর রহমান।
তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্ত করা
হচ্ছে। সত্যতা পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।