ওই অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মো. সুজন শনিবার রাতে
নিউ মার্কেট থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি স ম কাইয়ুম জানান।
মঙ্গলবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি
বলেন, মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল ইফতারের টেবিল বসানো নিয়ে
নিউ মার্কেটের দুই দোকানের কর্মীদের বচসার পর এক পক্ষ ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাস থেকে
ছাত্রলীগের কয়েক কর্মীকে ডেকে আনে। তারা গিয়ে মারধরের শিকার হওয়ার পর ছাত্রাবাসে
ফিরে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে নিউ মার্কেটে হামলা চালাতে গেলে
বাঁধে সংঘর্ষ।
এর ধারাবাহিকতায় পরদিনও দিনভর সংঘর্ষ
চলে, তাতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। সে
সময় আহত একজনকে সরিয়ে নিতে গিয়ে নুরজাহান মার্কেটের সামনের সড়কে ভাঙচুরের শিকার
হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স।
সেদিন এলিফ্যান্ট রোডের একটি কম্পিউটার
এক্সেসরিজের দোকানের ডেলিভারিম্যান নাহিদকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আর ইটের আঘাতে আহত
হন মোরসালিন নামে এক দোকানকর্মী। পরে হাসপাতালে মারা যান তারা দুজন।
নিউ মার্কেটে সংঘর্ষের মধ্যে সাংবাদিকরাও আক্রান্ত, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর
দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে
দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনায় আদালা দুটি মামলা
করেছে পুলিশ। এর মধ্যে হত্যা মামলা দুটির তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ, বাকি দুই
মামলায় থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
সব মিলিয়ে পাঁচ মামলায় ২৪ জনের
নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭ শ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় নিউ মার্কেট থানা
বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে
পারেনি পুলিশ।