অঙ্গগুলো একদিন চিন্তা করলো বেড়াতে বের হবে। কোথায় যাবে? রাত একটার সময় তারা রওনা
হয় মস্তিষ্কের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে কে কী কাজ করে সে গল্প করা শুরু করলো। পা বলল, আমি এতো কষ্ট করি, কষ্ট
করে হেঁটে খাবার খুঁজি। তারপর চোখ বলল,
আমিও এতো কষ্ট করে দেখি, খাবার বেছে খাই।
এবার মস্তিষ্ক বলল, আমি এতো কষ্ট করে বুদ্ধি বের করে
সবাইকে বাঁচিয়ে রাখি। তাদের সঙ্গে পাকস্থলী ছিল না। সবাই তখন বলে পাকস্থলী তো কিছুই করে না, খালি বসে বসে খায় আর আরাম করে। সবাই বলে এর একটা শাস্তি হওয়া উচিত। এ কথায় সবাই একমত হলো।
কিন্তু কী শাস্তি দেওয়া যায়? মস্তিষ্ক কিছুক্ষণ ভেবে
বলল, আমরা তাহলে পাকস্থলীকে আর খাবার দেবো না। সবাই মস্তিষ্কের কথায় একমত হয়। এ খবর চলে যায় পাকস্থলীর কাছে। শুনে সে মুচকি মুচকি হাসে।
তিন-চারদিন কেটে গেলো। কেউ কোন কাজ করে না। পাকস্থলীকে খাবারও দেয় না। ফলে সবাই ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে লাগলো।
সেদিন রাতেই আবার সবাই বৈঠকে বসলো। ওই বৈঠকে পা বললো, এভাবে তো আর চলে না। আমি তো চলতে পারছি না। দুর্বল হয়ে পড়েছি। বাকিরা নিজেদের কষ্টের কথা বলতে থাকে।
তারপর সবাই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। সবাই একমত হয়ে বলল, আমরা কেউই পাকস্থলীকে ছাড়া চলতে
পারব না। আমরা আসলে একজনকে ছাড়া
অন্যজন অচল।
মস্তিষ্ক সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলো, পাকস্থলী ছাড়া
তাদের জীবন বৃথা। সুতরাং তাদের অবশ্যই পাকস্থলীকে
পরিমাণ মতো খাবার দিতে হবে।
তারপর সবাই আগের মতো একসাথে জীবনযাপন করতে লাগলো। পাকস্থলীর কাজকেও সবাই গুরুত্ব দিলো।
লেখক পরিচিতি: শিক্ষার্থী, ষষ্ঠ শ্রেণি, কসমোপলিটন
ল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিডজ পাতায় বড়দের সঙ্গে শিশু-কিশোররাও লিখতে পারো। নিজের লেখা ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, মজার অভিজ্ঞতা, আঁকা ছবি, সম্প্রতি পড়া কোনো বই, বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা ও নিজ স্কুল-কলেজের সাংস্কৃতিক খবর যতো ইচ্ছে পাঠাও। ঠিকানা kidz@bdnews24.com সঙ্গে নিজের নাম-ঠিকানা ও ছবি দিতে ভুলো না! |